মাটি খুঁড়ে পাওয়া গ্রামে ছড়িয়ে রহস্যময় শিলা
মাটি খুঁড়ে এক গ্রামের সন্ধান পেলেন এএসআইয়ের প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেই গ্রাম থেকে এমন কিছু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে যা অত্যন্ত রহস্যময়।
এ গ্রাম যে ছিল সেকথা জানা ছিল। কিন্তু তা যে মাটির তলায় হারিয়ে যাওয়ার পর খুঁড়ে বার করা হবে তা স্থির ছিলনা। স্থির হয় ২০০৩ সালে। পশ্চিমবঙ্গের কাছেই ঝাড়খণ্ডে পশ্চিম সিংভূম জেলায় খনন শুরু করে এএসআই। অবশেষে মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে আসে একটি আস্ত গ্রাম।
এ গ্রামে ৫ শতাব্দী থেকে ১৬ শতাব্দী পর্যন্ত মানুষের দিব্যি বাস ছিল। এ গ্রামে এক রাজা ছিলেন। নাম ছিল বেনি। সেই রাজা এক বিশাল পুকুর খনন করিয়েছিলেন। যার মাপ ছিল ৩৩০ বাই ৩৪০ মিটার।
অতিকায় এই পুকুরের জল নানা কাজে লাগত। বিশাল এই গ্রামের প্রয়োজন মেটাত। এই পুকুর এতটাই বড় ছিল যে তাকে সাগর বলা হত। সেই থেকেই গ্রামের নাম হয় বেনিসাগর।
বেনিসাগর গ্রামে এমন সব মূর্তি পাওয়া গিয়েছে যা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সংরক্ষিত করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেই সঙ্গে এমন কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে যার রহস্য এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে।
এই গ্রামে এমন কিছু শিলা পাওয়া গিয়েছে যার ওপর নারী পুরুষের দৈহিক মিলনের দৃশ্য খোদাই করা রয়েছে। যা থেকে এটা প্রমাণ হয় যে সে সময় নারী পুরুষের মিলন নিয়ে কোনও ছুৎমার্গ এ গ্রামে ছিলনা।
এছাড়া এই গ্রামে এমন কিছু শিলা পাওয়া গিয়েছে যা প্রমাণ করে সে সময় এ গ্রামে চতুর্বেদ চর্চা যথেষ্ট প্রচলিত ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা