গ্রামের মাটি খুঁড়লেই মিলছে হিরে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষজন
যে যেখান থেকে পারছেন ছুটে আসছেন। কত তাড়াতাড়ি ওই গ্রামে এসে হাজির হবেন সেটাই এখন প্রতিযোগিতার স্তরে পৌঁছেছে। লড়াই চলছে কে আগে মাটি খুঁড়বেন তা নিয়ে।
একটি গ্রাম। ভারত জুড়ে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ গ্রামের একটি। কিন্তু সেই গ্রামের এখন কদরই আলাদা। সেখানে এখন লোকে লোকারণ্য। গ্রামবাসীরাই এখানে পাত্তা পাচ্ছেন না। রাজ্যের তো বটেই, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও মানুষ ছুটে আসছেন এখানে।
কে আগে পৌঁছবেন সেটা নিয়েও প্রতিযোগিতা চলছে। কে আগে মাটি খুঁড়বেন তা নিয়েও কমছে না প্রতিযোগিতা। এমন অবস্থা হয়েছে যে গ্রামের প্রায় পুরো মাটি খুঁড়ে ফেলেছেন সকলে।
ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার রাতে। ওইদিন রাতে গ্রামে মাটি খুঁড়ে এক পরিবার একটি বিশাল আকারের হিরে পায়। যেটির দাম বাজারে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা।
ওই পরিবার সেটি এক হিরে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রিও করতে গিয়েছিল। তিনি ৪০ লক্ষ টাকা দিতে চান। কিন্তু আরও বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিবারটি হিরে বিক্রি করেনি। এটাও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে যে ওই গ্রামে নাকি আরও ২ জন গ্রামের মাটির তলা থেকে ২টি হিরের টুকরো পেয়েছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের এনটিআর জেলার গুডিমেটলা গ্রামের সম্বন্ধে এই কথা রটে যাওয়ার পর থেকেই সে গ্রামে মানুষের মেলা বসেছে। গাড়ি করে, ট্রেনে চেপে, সাইকেল নিয়ে, বাইক নিয়ে, গাড়ি ভাড়া করে, মানে যে যেমন করে পারছেন ওই গ্রামে দ্রুত হাজির হচ্ছেন রাজ্যের তথা ভিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আর গ্রামে ঢুকেই সময় নষ্ট না করে মাটি খুঁড়তে লেগে পড়ছেন সকলে। যদি হিরে পেয়ে যান। রাতারাতি গ্রামটি হিরের গ্রাম নামে পরিচিত হয়ে গেছে।
কৃষ্ণা নদীর ধারের এই গ্রামে কিন্তু হিরে খোঁজার চল নতুন নয়। প্রতিবছরই বর্ষাকালে স্থানীয়রা হিরের খোঁজে গ্রাম ও গ্রামের আশপাশের এলাকায় মাটি খোঁড়া শুরু করেন। যদি কোনও হিরের খোঁজ পাওয়া যায় এই আশায় খোঁড়া হয় মাটি। স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করেন এই এলাকায় প্রচুর হিরে বহুকাল ধরে মাটির তলায় পোঁতা আছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা