বিনা খরচেই দেদার টমেটো খাওয়া চলছে, প্রতিবেশিকে দেখে ঈর্ষায় পুড়ছেন বাকিরা
টমেটোর আকালে অনেকের বাড়িতে যখন টমেটো ঢোকা প্রায় বন্ধ, সেখানে তিনি চুটিয়ে টমেটো খাচ্ছেন। তাও খরচ করে নয়। এটা পাড়া প্রতিবেশির ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠেছে।
পাড়াতেই একসঙ্গে থাকেন তাঁরা। কিন্তু যখন গোটা পাড়ার বাসিন্দারা টমেটোর দামে বাজারে ছেঁকা খাচ্ছেন, টমেটো ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন, তখন তাঁদেরই পাড়ার একজন বাসিন্দা চুটিয়ে টমেটো খাচ্ছেন। বাড়ির নানা পদে দেদার টমেটো ব্যবহার করছেন। এটা বাকিদের ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠেছে।
যদিও ওই বাসিন্দা যে একাই টমেটো খাচ্ছেন তা নয়। মাঝেমধ্যে টুকটাক প্রতিবেশিদেরও খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু তাঁর ৩ তলা বাড়িটা এখন কার্যত টমেটোর কারণে পাড়া প্রতিবেশির চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে।
লখনউ শহরের একটি জায়গা গোমতী নগর। এই গোমতী নগরের বাসিন্দা ভিকে পাণ্ডে। ৩ তলা একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর। কীটনাশক তৈরির সংস্থায় তিনি কাজ করেন। সেখান থেকেই বাড়ির বারান্দা ও ছাদে বাগান বানানোর শখ তৈরি হয় তাঁর।
বাড়ির বারান্দা ও ছাদ ভরে গেছে গাছে গাছে। সেখানে অনেক টমেটো গাছ লাগিয়েছেন ভিকে পাণ্ডে। সেই গাছে প্রচুর টমেটো হয়। ভিকে পাণ্ডে জানাচ্ছেন, তাঁর হিসাবে গত নভেম্বর মাস থেকে এখনও তিনি ২৫০ কেজি টমেটো উৎপাদন করেছেন কেবল তাঁর বাড়ির এই কিচেন গার্ডেনে।
টমেটো ছাড়াও রান্নায় প্রয়োজন এমন নানা সবজি তৈরি করেন ভিকে পাণ্ডে। টবেই বানান নানা ফল। এটা তাঁর শখ। যা টমেটো তাঁর হয় তাতে তাঁর বাড়ির প্রয়োজন মিটিয়েও বাঁচে। যা ভিকে পাণ্ডে পাড়া প্রতিবেশিদের বিলিয়ে দেন।
যেখানে টমেটোর দামে নাভিশ্বাস উঠেছে গোটা ভারতের সেখানে ভিকে পাণ্ডে বিনা খরচে একদম যাকে বলে গার্ডেন ফ্রেশ টমেটো খেয়ে চলেছেন প্রতিদিন। টমেটোর দাম বাড়া বা কমার প্রভাব তাঁর পকেটে পড়ে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা