মন্দিরে যেতে গেলে এবার লাঠি রাখতেই হবে, চালু নতুন নিয়ম
মন্দিরে যেতে গেলে পুণ্যার্থীদের হাতে লাঠি থাকা বাধ্যতামূলক করল মন্দির পরিচালন কমিটি। তবে এই লাঠি চলাফেরার সুবিধার জন্য নয়, আত্মরক্ষার জন্য।
তিরুমালা তিরুপতি বালাজি মন্দির, যা সাধারণভাবে তিরুপতি মন্দির হিসাবেই পরিচিত, সেখানে শুরু হল নতুন নিয়ম। তিরুপতি মন্দিরে বিগ্রহ দর্শন করতে গেলে পুণ্যর্থীদের সঙ্গে রাখতে হবে একটি শক্তপোক্ত কাঠের দণ্ড। যা তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম-এর তরফ থেকেই পুণ্যার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তিরুপতি মন্দিরে যত পুণ্যার্থীই আসুন না কেন তাতে লাঠির অভাব হবেনা বলেই আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু লাঠি সঙ্গে রাখতেই হবে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে পুণ্যার্থীদের জন্য।
তিরুপতি মন্দিরে পৌঁছতে পাহাড়ের অনেকটা উপরে উঠতে হয়। অনেক পুণ্যার্থী হেঁটেই ওঠেন সেখানে। কেউ আবার বাসেও পৌঁছন। তবে পুণ্যার্থীরা পাহাড়ি পথে যাতে সহজে হেঁটে উঠতে পারেন সেজন্য কিন্তু লাঠি দেওয়া হচ্ছেনা।
কয়েকদিন আগে এই পুণ্যার্থীদের সঙ্গে থাকা এক ৬ বছরের শিশুকে একটি লেপার্ড তুলে নিয়ে যায়। বন্যপ্রাণির হামলা অবশ্য নতুন নয়। ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ে হিংস্র প্রাণির অভাব নেই। এই প্রাণিদের থেকে বাঁচতেই পুণ্যার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে লাঠি। যাতে যাত্রাপথে যদি তাঁদের ওপর কোনও প্রাণি হামলাও চালায়, তাহলেও যাতে তাঁরা নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করতে পারেন।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম-এর পক্ষে আরও জানানো হয়েছে, কোনও পুণ্যার্থী আলাদাভাবে মন্দিরে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে পারবেননা। তাঁদের একটি দলের সঙ্গে একজোট হয়েই উঠতে হবে।
দল থাকলে বন্যপ্রাণিদের আক্রমণের সম্ভাবনা কমে। এই দলে কমপক্ষে ১০০ জন করে থাকতেই হবে। শুধু ১০০ জনের দল বলেই নয়, তাঁদের সঙ্গে সুরক্ষাকর্মীও থাকবেন। এইভাবে একটি করে দল মন্দিরে পৌঁছবে। যাত্রাপথে যত্রতত্র খাবার ছড়াতেও পুণ্যার্থীদের মানা করা হয়েছে। খাবার ফেলে রাখলে তা খাওয়ার টানেও প্রাণিরা সেখানে হাজির হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা