জামিন চাইতেই বিচারককে ব্যক্তিগত অঙ্গে থাকা দাগ খুলে দেখালেন মহিলা
এমন ঘটনা বিরল। তবে হয়না এমনটাও নয়। তাঁর অবস্থা কি হয়েছে তা বিচারকের সামনে পরিস্কার করে তুলে ধরতে নিজের ব্যক্তিগত অঙ্গ খুলে দেখালেন এক মহিলা।
ছেলেকে ৬ জনে ধরে মারছে। এটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়েন ছেলেকে রক্ষা করতে। মা হিসাবে তিনি তাঁর সন্তানকে রক্ষা করার চেষ্টা করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। অভিযোগ ঠিক তখনই ৬ জন তাঁকেও মারধর শুরু করে। এদের মধ্যে ১ জন আবার ঝাঁপিয়ে পড়ে মহিলার ওপর। তারপর মহিলার ব্যক্তিগত অঙ্গে কামড় বসাতে শুরু করে।
লজ্জায়, যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে ওঠেন মহিলা। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত অঙ্গে কামড় বসানো বন্ধ করেনি ওই ব্যক্তি। ব্যক্তিগত অঙ্গ তো বটেই, তারপর দেহের অন্য অংশেও কামড় বসিয়ে দেয় সে।
ওই মহিলা তাঁর ব্যক্তিগত অঙ্গে কামড় বসানোর মত জঘন্য কাজ মেনে নিতে পারেননি। তিনি সোজা হাজির হন পুলিশের কাছে। সন্দীপ সাহানি নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই সঙ্গে বাকিদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও দায়ের করেন ওই মহিলা। আদালতে গড়ায় বিষয়টি। আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তার বিরোধিতা করেন ওই মহিলার আইনজীবী।
যাতে ওই ব্যক্তি জামিন না পান সেজন্য মহিলা শুধু মুখে তাঁর পরিস্থিতি জানিয়েই থেমে যাননি। কিরণ চৌরাসিয়া নামে ওই মহিলা বিচারককে তাঁর গোপনাঙ্গে কামড়ের দাগ খুলে দেখিয়ে দেন। যাতে বিচারক বুঝতে পারেন মহিলার গোপন অঙ্গের ওপর কি পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে অভিযুক্ত।
ওই কামড়ের দাগগুলি নিজের চোখে দেখার পর দ্রুত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। অভিযুক্তকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বাগাহা জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা