National

বিষাক্ত সাপে কাটা অবস্থায় ১৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন যুবক

১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছে যাওয়া যায়। বিষাক্ত সাপে কাটার পর সেই দূরত্ব অতিক্রম করে চিকিৎসা করাতে এলেন যুবক।

বিষাক্ত সাপে ছোবল মারলে ১ মিনিটও দামি মনে হয়। সাপের ছোবল খাওয়া মানুষটিকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা দেওয়ার দরকার পড়ে। নাহলে বিষ শরীরে ছড়িয়ে গেলে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত। তাই সাপে ছোবল মারলে আর এক মুহুর্তও সময় নষ্ট করতে মানা করা হয়। সেখানে সাপের ছোবল খাওয়ার পর এক যুবকের চিকিৎসা হল ১ হাজার ৩০৭ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে। সহজ করে বোঝাতে গেলে কলকাতায় যদি কেউ ছোবল খান আর প্রায় দিল্লির কাছে চিকিৎসা করাতে যান তাহলে যা দাঁড়ায় অনেকটা তেমন।

২০ বছরের ওই যুবক গুজরাটের রাজকোটে কাজ করতেন। সেখানেই তিনি গত ১৫ অগাস্ট সাপের ছোবল খান। বিষাক্ত সাপের ছোবল খাওয়ার পর দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।


কিন্তু তার কিছুক্ষণের মধ্যেই যুবক অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁর পরিবারের লোকজন স্থির করেন তাঁরা কোনও স্থানীয় হাসপাতালে নয়, যুবককে কানপুরে নিয়ে যাবেন।

কোথায় গুজরাটের রাজকোট আর কোথায় উত্তরপ্রদেশের কানপুর! পরিবারের লোকজন তাঁদের অবস্থানে স্থির থাকেন। একটি অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করেন তাঁরা। অ্যাম্বুলেন্স ৫১ হাজার টাকার বিনিময়ে কানপুরে যেতে রাজি হয়।


সাপে কাটা অচেতন যুবককে নিয়ে সড়কপথে কানপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে যুবকের পরিবার। ১৭ অগাস্ট কানপুরে পৌঁছে লালা লাজপত রায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সুনীল কুমার নামে ওই ২০ বছরের যুবককে। সেখানে সুনীলকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়।

সুনীলের অবস্থা সংকটজনক ছিল। সেখান থেকে অবশ্য চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টায় তাঁকে বাঁচিয়ে ফেরান। কিন্তু এখনও কারও কাছে পরিস্কার নয় যে কেন রাজকোটের কোনও হাসপাতালে ওই যুবককে চিকিৎসা না করিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে ওই অবস্থায় কানপুরে নিয়ে এল পরিবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button