বিশেষ কাজে দিঘির জলে চক্কর দিচ্ছে রোবট, বুদ্ধি দিয়ে করছে বাজিমাত
এ দিঘি বিশাল দিঘি। তার জলেই ভেসে বেড়াচ্ছে রোবট। তার আবার কৃত্রিম বুদ্ধির অভাব নেই। আর সেই বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে এক বিশেষ কাজ সেরে চলেছে সে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই শব্দটার সঙ্গে সব স্তরের মানুষের পরিচয় ক্রমে বেড়েই চলেছে। দিনে দিনে বিজ্ঞান এখন কৃত্রিম বুদ্ধিকে ক্ষুরধার করে তুলছে। সেই বুদ্ধি নিজেই ঠিক করে নিচ্ছে তার কাজ। অনেক বেশি নিখুঁত করে সেই কাজ সেরেও ফেলছে।
এবার সেই বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়েই পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়ানোর লড়াই চালাচ্ছে প্রশাসন। পাহাড়ের ৪ হাজার ৯০০ ফুট উঁচুতে রয়েছে উমিয়াম হ্রদ। উমিয়াম মেঘালয়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। যেহেতু পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে তাই এই হ্রদটিকে সাজিয়ে রাখতে প্রশাসনও তৎপর।
হ্রদটি পাহাড়ের অতটা উপরে হওয়ায় সেখানকার প্রকৃতি সৌন্দর্য অপরূপ। যেদিকে তাকানো যায় চোখ জুড়িয়ে যাওয়া রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় আর সবুজ।
উমিয়াম হ্রদে ইদানিং পর্যটকরা কিছুটা বিরক্ত হচ্ছিলেন হ্রদের বেহাল দশার জন্য। ওই বিশাল দিঘির জলের অনেক জায়গায় জঞ্জালের স্তূপ সার্বিক সৌন্দর্যটাই ঢেকে দিচ্ছিল।
তাই প্রশাসনের তরফে এই দিঘির জঞ্জাল খুঁজে খুঁজে সাফ করতে মানুষকে জলে না নামিয়ে একটি রোবট নৌকাকে জলে ভাসানো হয়েছে। সেই রোবট যান তার কৃত্রিম বুদ্ধি দিয়ে জঞ্জাল সাফ করে চলেছে। খুঁজে খুঁজে বার করছে জঞ্জাল।
জঞ্জাল কোথায় রয়েছে তাও সে খুঁজে দেখছে কৃত্রিম বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে। এতে দ্রুত সাফাই কাজও হচ্ছে। আবার জঞ্জাল যে কোথাও লুকিয়ে থেকে যাবে সেটাও হচ্ছেনা। মানুষের নজর এড়ালেও রোবট নৌকার নজর এড়াতে পারছেনা জঞ্জাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা