কাপড়ের দোকানে প্রতিদিন হাজির হয় একটি গরু, কাটায় বেশ কিছুক্ষণ
একটি কাপড়ের দোকানে প্রতিদিন হাজির হয় একটি গরু। বেশ কিছুটা সময় দোকানে কাটায়। তারপর নিজের মত বেরিয়ে যায়। এমনই চলছে ৭ বছর ধরে।
একটি কাপড়ের দোকান। ছোটখাটো দোকান নয়। বিশাল দোকান। সুসজ্জিত সেই দোকানে ঢোকার জন্য প্রথমে কয়েকটি সিঁড়ি। তারপর কাচের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলে প্রথমসারির কাপড়ের দোকান দেখা যায়। সেই দোকানে প্রতিদিন হাজির হয় একটি গরু।
প্রতিদিন একটি সময় হাজির হয় সে। দোকানে ঢুকে যে গদির ওপর দোকান মালিক ও কর্মচারিরা বসে থাকেন, সেই সাদা গদির ওপর হেঁটে উঠে আসে সে। প্রথমেই চলে আসে দোকান মালিকের কাছে।
দোকান মালিক তাকে আদর করতে শুরু করেন। এবার সে ওই সাদা গদির ওপরই বসে পড়ে। এরমধ্যেই ক্রেতারা হাজির হতে থাকেন দোকানে। তাঁদের যেমন কাপড় দেখানোর তেমন চলতে থাকে। গরু কিন্তু কোনও সমস্যা করেনা।
চন্দ্রমণি নামে এই গরু নাকি ৭ বছর ধরে এমনভাবেই দোকানে হাজির হয়। তাকে দোকান মালিক খাওয়ান। তাঁর বিশ্বাস গরুর রূপে স্বয়ং ঈশ্বরের আগমন ঘটে তাঁর দোকানে।
তাই গরুটি প্রতিদিন এলেও তাকে কেউ তাড়ানোর চেষ্টা করেননা। বরং তার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই গরু বসে থাকা দোকানে হাজির ক্রেতারা অনেক সময় প্রণামও করে যান গরুকে। এভাবেই চলছে। বেশ কিছুটা সময় দোকানে কাটিয়ে তারপর নিজের মত উঠে দোকান থেকে বেরিয়ে যায় চন্দ্রমণি।
রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো একটি গরুর এই প্রত্যেকদিন দোকানে হাজিরা দেওয়া, একটু সময় কাটিয়ে যাওয়া কিন্তু ছত্তিসগড়ের রায়পুরের মানুষের কাছে নতুন কিছু নয়। অনেকেই এই গরুর কাপড়ের দোকানে সময় কাটানোর কথা জানেন। এমনকি স্থানীয় মানুষজন এই দোকানটিকে গরুর দোকানও বলেন।