এখানে ৩০ বছর ধরে চলছে বীরুগিরি, শোলের দেখানো পথই এখন অস্ত্র
শোলে সিনেমার কথা তো সকলেরই মনে আছে। এই ব্লকবাস্টার সিনেমায় বীরুর কাণ্ড দেখে শিখে এখন সেটাই প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে এই এলাকার।
১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া শোলে সিনেমায় ধর্মেন্দ্র বীরু নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। বীরু বাসন্তিকে ভালবাসে। কিন্তু বাসন্তীর মাসিমা তার বিয়ে বীরুর সঙ্গে কিছুতেই দেবেনা। এক প্রবল গরমের দিনে বীরু মদ্যপান করে গ্রামের জলের ট্যাঙ্কের ওপর চড়ে বসে। সেখান থেকে আত্মহত্যার ভয় দেখায়।
অগত্যা মাসিমা ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বাসন্তীর সঙ্গে বীরুর বিয়ে মেনে নেন। সেই সিনেমার একটি মুহুর্ত যে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠতে পারে তা কে ভেবেছিলেন। কিন্তু সেটাই হয়েছে।
রাজস্থানের হনুমানগড়ের মানুষের এখন এটাই দাবি আদায়ের প্রধান অস্ত্র। ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে এখানে এই জলের ট্যাঙ্কে চড়ে বীরুগিরি একটা প্রতিবাদের ভাষা হয়ে চলে আসছে। যা ইদানিং আবার বেড়েছে।
কখনও পানীয় জলের দাবিতে, কখনও রাস্তায় জল জমার সুরাহা করার দাবিতে, আবার কখনও রেশন বণ্টনে বিলম্ব, তো কখনও সেচের জন্য জলাভাব, নানা কারণে যখনই সমস্যা তৈরি হচ্ছে, স্থানীয় মানুষ জলের ট্যাঙ্কে চড়ে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন।
জলের ট্যাঙ্কে চড়ে প্রতিবাদ হলে প্রশাসনও চিন্তায় পড়ে। কেউ যদি সত্যি লাফ দেন! তাই দ্রুত আধিকারিকরা ছুটে আসেন। এতে কাজ বেশি হয়।
তাই বীরুগিরি এখন হনুমানগড়ের মানুষের দাবি আদায়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছে। কোনও কাজ ঠিকঠাক না হলেই কেউ না কেউ ট্যাঙ্কের ওপর উঠে প্রতিবাদের সুর চড়া করছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা