পাকস্থলীতে শতাধিক জিনিসের দোকান খুলেছিলেন রোগী, আঁতকে উঠলেন চিকিৎসকেরা
কি নেই সেখানে। নানা টুকিটাকি জিনিসের যেন দোকান সাজিয়েছিলেন ওই রোগী। সেটাও নিজের পাকস্থলীতে। যা দেখে চিকিৎসকদেরও ভিরমি খাওয়ার জোগাড়।
কয়েকদিন ধরেই পেটের যন্ত্রণাটা বেড়েছিল। ক্রমশ বাড়তে থাকা এই যন্ত্রণা, বমি ভাব এসব বাড়তে থাকায় ৪০ বছরের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁর পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকেরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেন এমন পেটের যন্ত্রণায় ভুগছেন ওই ব্যক্তি। অগত্যা তাঁর পেটের স্ক্যান করানো হয়।
তখনই বেশ কিছুটা ধারনা পরিস্কার হয় চিকিৎসকদের। তবে অপারেশন টেবিলে পাকস্থলী থেকে এক এক করে জিনিসগুলি বার করার সময় কার্যত আঁতকে ওঠেন চিকিৎসকেরা।
কি নেই পাকস্থলীতে! চুলের ক্লিপ, সেফটিপিন, পেরেক, নাট বল্টু, ইয়ারফোন, লকেট, বোতাম, জিপার ট্যাগ, মার্বেল, এমনকি একটি রাখিও পেট থেকে পাওয়া যায় তাঁর।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন শতাধিক রকমের টুকিটাকি ঘরোয়া জিনিস ওই ব্যক্তির পেট থেকে তাঁরা বার করেন। এভাবে পেট থেকে সব বার করতে দীর্ঘ সময়ের অপারেশন চলে।
পাঞ্জাবের মোগা এলাকায় একটি হাসপাতালে এমন এক অতিবিরল ঘটনার সাক্ষী হলেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না একজন মানুষ এমন সব জিনিস একের পর এক খেয়ে ফেললেন কীভাবে! অবাক ওই ব্যক্তির পরিবারও।
সকলের অলক্ষ্যেই তিনি এগুলো খেয়ে ফেলতেন। যদিও পরিবারের তরফে এটা মেনে নেওয়া হয়েছে যে ওই ব্যক্তি কিঞ্চিত মানসিক ভারসাম্যহীন।
আপাতত হাসপাতালেই রয়েছেন ওই ব্যক্তি। কারণ জিনিসগুলি পেট থেকে বার করা হলেও তার জেরে শরীরের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। যা সারানো গেলে তবেই তিনি সুস্থ হবেন। এই ঘটনার খবর নানা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর গোটা দেশের মানুষ এই ঘটনা জেনে অবাক।