বিরল সম্পদের সম্ভার, গোটা বিশ্বকে চেয়ে থাকতে হবে দেশের দিকে
বাংলারই প্রতিবেশি। পাহাড় ঘেরা সবুজ এ রাজ্যে এমন এক বিরল সম্পদ রয়েছে যা গোটা বিশ্বকে দেশের মুখাপেক্ষী করে তুলতে পারে।
ঝাড়খণ্ড গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত একটি বিশেষ খনিজ সম্পদের জন্য। তবে তা আজকে নয়। যখন ঝাড়খণ্ড তৈরি হয়নি, ছিল বিহার, তখনও এই অঞ্চলের বিশেষ কদর ছিল তার উৎকৃষ্ট মানের অভ্রের জন্য। অধুনা ঝাড়খণ্ডও অভ্রের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই অভ্রের কথা তো সকলের জানা।
ঝাড়খণ্ডে এমনও এক খনিজ সম্পদের বিরল সম্ভার রয়েছে যা আগামী দিনে ভারতের চেহারা বদলে দিতে পারে। গোটা বিশ্বকে ঝাড়খণ্ডের হাত ধরে ভারতের মুখাপেক্ষী করে তুলতে পারে।
ঝাড়খণ্ডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লিথিয়াম। লিথিয়ামকে বলা হয় কসমিক খনিজ। যা দেশের শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রের চেহারা বদলে দিতে পারে। যা আখেরে দেশের চেহারা বদলে দেবে।
বিশ্ব এখন জিরো কার্বন গ্রিন এনার্জির কথা বলছে। এই শক্তিই আগামী দিনে বিশ্বের চালিকা শক্তি হতে চলেছে। প্রকৃতিকে রক্ষা করতে এ ছাড়া উপায় নেই। লিথিয়াম সেই শক্তির উৎস।
ভারতে আগামী দিনে ব্যাটারি চালিত বাস বা অন্য কোনও গাড়িকে যদি দেশের প্রধান পরিবহণের জায়গায় তুলে আনতে হয়, অনেক ইভি বাস বা গাড়ি তৈরি করতে হয় তাহলেও এই লিথিয়াম এক অন্যতম ভরসা হতে পারে।
এমনকি এখন যেমন ঝাড়খণ্ডের অভ্র বিশ্ব প্রসিদ্ধ, আগামী দিনে এই লিথিয়ামও বিশ্ব প্রসিদ্ধ হতে সময় লাগবেনা। ঝাড়খণ্ডের লিথিয়াম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানিও হতে পারে আগামী দিনে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা