যথেচ্ছ টোকাটুকির কারণে বাতিল হল চাকরির পরীক্ষা
পরীক্ষাকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করলেন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। পরীক্ষাকে সামনে রেখে এত টোকাটুকি তাঁরা করলেন যে বাতিলই হয়ে গেল পরীক্ষা।
পরীক্ষা হলে পরীক্ষা দিতে বসে ব্লুটুথ কাজে লাগিয়ে চলল উত্তর জানা। একে অপরকে জিজ্ঞাসা তো আছেই। সেইসঙ্গে মোবাইল কাজে লাগিয়েও চলল নকল করা। উত্তর হাতে পেয়ে যাচ্ছিলেন অনেকে। সেই উত্তর পরীক্ষা হলে বসে দেখে দেখে লিখে দিচ্ছিলেন তাঁরা। এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ারও অভিযোগ ছিল।
এভাবে পরীক্ষাকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করার পর বাধ্য হয়েই এই চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে।
বিহার পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় এমন খোলাখুলি নকল চলল যে বাধ্য হয়েই পরীক্ষা বাতিল করতে হয়। এই ঘটনায় ১০০ জনের ওপর পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পরীক্ষা হলে বসে নকল করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
পরীক্ষা হলে যেভাবে এদিন নকল হয় তা দেখে তাজ্জব পুলিশও। সবচেয়ে বেশি নকলের ঘটনা ঘটেছে পাটনা, নওয়াদা, সমস্তিপুর, ভোজপুর, বক্সার, সারান, বৈশালীতে।
গত রবিবার হওয়া এই কাণ্ডে পরীক্ষা তো বাতিল হয়েছেই, সেইসঙ্গে আগামী ৭ অক্টোবর ও ১৫ অক্টোবরের পরীক্ষাও বাতিল করে দিয়েছে সেন্ট্রাল রিক্রুটমেন্ট কাউন্সিল। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের অনুমান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের পিছনেও একটি বড় চক্র রয়েছে। সেই চক্রের খোঁজ পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় যাঁরা এই অসৎ পথ না নিয়ে, পড়াশোনা করে পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না কবে তাঁরা ফের এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা