তরুণীর হাত ধরে ইউক্রেন যুদ্ধের অন্য ছাপ পড়ল গয়ার ফল্গু নদীর পারে
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনও অব্যাহত। সেই যুদ্ধের একটা অন্য ছাপ এসে পড়ল গয়া শহরের ফল্গু নদীর ধারে। একটু অন্যরকম শোনালেও এটাই ঘটেছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনও অব্যাহত। ধ্বংসলীলা চলছে। ইউক্রেনের অনেক শহর কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। তবে সে যুদ্ধের কোনও সরাসরি প্রভাব অন্যকোনও দেশে পড়েনি। তবে একটা অন্য ছাপ কিন্তু ভারতের গয়া শহরের ফল্গু নদীর ধারে দেখলেন স্থানীয় মানুষজন থেকে পর্যটক সকলেই।
ইউক্রেনের এক তরুণী এই যুদ্ধের সময় তাঁর বাবা ও মাকে হারিয়েছেন। মৃত বাবা মায়ের জন্য তিনি এসেছিলেন পিণ্ডদান করতে।
এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না গয়ায় অনেকেই পিণ্ডদান করে থাকেন। তবে তা যে সুদূর ইউক্রেনের এক তরুণীকেও প্রভাবিত করতে পারে তা ফল্গু নদীর ধারে দেখা গেল।
গয়ায় ফল্গু নদীর ধারে অবস্থিত বিষ্ণুপাদ মন্দিরের চত্বরে ইউলিয়া জিটো নামে ওই তরুণী তাঁর বাবা মায়ের পিণ্ডদান করলেন। যাবতীয় রীতি মেনেই এই পিণ্ডদান করলেন ইউলিয়া।
তবে ইউক্রেনের এই তরুণী শুধু তাঁর বাবা মায়ের পিণ্ডদানই করলেন না, একইসঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে যতজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে যে সনাতনি রীতি রয়েছে তার সব কিছু পালন করলেন নিখুঁত ভাবে।
ইউলিয়া জানিয়েছেন, তিনি এর আগে একবার গয়ায় এসেছিলেন। তখন এই পিণ্ডদানের বিষয়টি দেখে গিয়েছিলেন। তাই এবার দ্বিতীয়বার ফিরে এসে বাবা মায়ের পিণ্ডদান করলেন।
এটা করে তিনি মানসিকভাবে অনেকটা শান্তি পেলেন বলেও জানিয়েছেন ওই ইউক্রেনীয় তরুণী। সব সেরে ১৩ অক্টোবর ইউলিয়া ফিরে যাবেন নিজের দেশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা