মৃত পুলিশকর্মী নতুন নামে ফিরলেন সেই কনস্টেবল পদে
তিনি কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তারপর ৫ বছর তাঁর খোঁজ ছিলনা। তারপরটা যা ঘটল তা পুলিশকেও অবাক করেছে। একটি চিঠি পুলিশের চোখ খুলে দিল।
তিনি কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। যেমন কাজ করার করছিলেন। কিন্তু আমচকাই তিনি কাজে আসা বন্ধ করেন। তাঁর কোনও খোঁজও ছিলনা। তাঁকে একটা সময় পর্যন্ত খুঁজেও না পেয়ে অবশেষে তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে পুলিশ। এরও পরে একটি কাগজের ভিত্তিতে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণাও করে দেওয়া হয়। যদিও পরে জানা যায় ওই কাগজ ভুয়ো ছিল।
এদিকে এমনভাবে ৫ বছর কেটে যায়। চণ্ডীগড় পুলিশের সেই তথাকথিত মৃত কনস্টেবল মনোজ কুমার নামে এবার উত্তরপ্রদেশে কনস্টেবল পদের জন্য আবেদন করেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশে তিনি কনস্টেবল পদে চাকরিও পেয়ে যান। তাঁকে মথুরায় পোস্টিং দেওয়া হয়। সেখানে দিব্যি কাজ করছিলেন চণ্ডীগড় পুলিশের কাছে মৃত ওই ব্যক্তি।
এমনভাবে বেশ চলছিল। এরমধ্যে মাইনেও পান তিনি। কিন্তু মথুরার এসপি-র কাছে একদিন একটি চিঠি এসে পৌঁছয়। কে সেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন তা অজানা হলেও চিঠির বয়ান পুলিশ উড়িয়ে দেয়নি। বরং তা খতিয়ে দেখা শুরু করে।
আর বয়ান খতিয়ে দেখতে গিয়ে এটা পুলিশ জানতে পারে যে চণ্ডীগড় পুলিশের এক কনস্টেবলই হলেন এই মনোজ কুমার। যাঁকে চণ্ডীগড়ে মৃত বলে ঘোষণা করা হলেও মথুরায় কনস্টেবল পোস্টে তিনি চাকরি করছেন।
পুলিশ জানতে পারে অনেক ভুয়ো কাগজ পেশ করেই এই চাকরি তিনি জোগাড় করেছেন। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যে খোদ পুলিশকেই অন্ধকারে রেখে এক জায়গার পলাতক ও পরে মৃত ঘোষিত কনস্টেবল দিব্যি পাশের রাজ্যে কনস্টেবল পোস্টেই চাকরি পেয়ে গেলেন কীভাবে? ওই চিঠি যদি না আসত তাহলে হয়তো এখনও নিশ্চিন্তে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পুলিশেই চাকরি করে যেতেন ছদ্মবেশী মনোজ কুমার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা