বিয়ে করে লুঠ করে পালায় এ যুবতী, দোসর হয় সাজানো আত্মীয়রা
এ যেন সিনেমার পর্দা থেকে তুলে নেওয়া ঘটনা। এক যুবতী একের পর এক বিয়ে করে তারপর লুঠ করে রাতারাতি চম্পট দেয়। সঙ্গী হয় তার সাজানো আত্মীয়রা।
এ যুবতীর কাণ্ড সম্বন্ধে অবহিত হয়েও পুলিশ অনেকদিন কিছু করে উঠতে পারেনি। প্রতিবার নতুন নাম। নতুন আত্মীয়। তারপর বিয়েতে ইচ্ছুক যুবকদের খুঁজে বার করে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপন। তারপর সব ঠিক হলে বিয়ে। প্রতিবার বিয়েতে এক নতুন নাম হয় যুবতীর। নতুন পরিচয় হয়। ছেলের বাড়ি কন্যাপক্ষের আচরণ দেখে, কনের ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়ে বিয়েতে রাজি হন। বিয়েও হয় ধুমধাম করে।
বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই একদিন বরের বাড়ির লোকজন দেখেন রাতারাতি বাড়ির নতুন বউমা বেপাত্তা। সঙ্গে নিয়ে গেছে যাবতীয় টাকাকড়ি, গয়নাগাটি।
এমনভাবেই চলছিল কখনও পিঙ্কি গৌতম, কখনও শিবাঙ্গী সিসোদিয়া তো কখনও সবিতা শাস্ত্রী সেজে লুঠ। সেই যুবতী এবার পাকড়াও করে এক কনস্টেবলকে। তাঁর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব গভীর হয়। তারপর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েও হয় ওই কনস্টেবলের সঙ্গে।
কিন্তু কনস্টেবল স্বামীর সন্দেহ হয় যখন ওই যুবতী প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা একটি এসইউভি গাড়ি কেনার জন্য নিয়েও কোনও গাড়ি কেনেনি। জিজ্ঞেস করলেই বলত গাড়ির নম্বরটা পেতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।
এরমধ্যেই একদিন আচমকা বাড়ি ফিরে কনস্টেবল এক অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীকে দেখে ফেলেন। কে ওই ব্যক্তি তার সঠিক উত্তর দিতে না পারলেও কনস্টেবল খবর নিয়ে জানতে পারেন ওই ব্যক্তি তাঁর নব্য বিবাহিতা স্ত্রীর প্রেমিক।
উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা ওই কনস্টেবল জিতেন্দ্র গৌতম নিজেই পুলিশে কর্মরত। তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তাঁর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত সব মিলিয়ে ওই মহিলা লুঠ করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ ওই যুবতীকে গ্রেফতার করে। তারপরই তার আসল রূপ সম্বন্ধে সব জানতে পারে পুলিশ।
তদন্তে তার আগের বিয়েগুলি এবং লুঠের কীর্তি সামনে এসে পড়ে। এখন কানপুর পুলিশ ওই মহিলার সঙ্গে থাকা সাজানো আত্মীয়দের খুঁজছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা