এবার রাস্তায় নেমে অন্য কাজ সারলেন রাবণ
রাস্তায় ব্যস্ত রাবণকে দেখে কার্যত চমকে উঠেছিলেন সকলে। ঠিক দেখছেন তো। পরক্ষণেই সকলে বুঝতে পারেন তিনি ঠিক দেখছেন। দশেরার আগে রাবণকেই দেখছেন তাঁরা।
রাবণ যে এসে তাঁদের সামনে উদয় হবেন তা বাইক থেকে গাড়ির আরোহীরা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। কিন্তু স্বয়ং রাবণ এসে হাজির হলেন তাঁদের সামনে। তাঁদের দাঁড় করালেন। কয়েকটা কথাও বললেন। কথা নয়, বলা ভাল উপদেশ দিলেন।
বাইক আরোহীদের বললেন রাবণের ১০টি মাথা আছে। কিন্তু তাঁদের তো একটিই মাথা। সেই মাথাটা রক্ষা করার দায়িত্ব আরোহীর। তাই বাইক বা স্কুটারে যাওয়ার সময় মাথায় হেলমেট থাকা জরুরি।
যাঁরাই হেলমেট না পরে যাচ্ছিলেন তাঁদেরই ধরে রাবণ ট্রাফিকের পাঠ দিচ্ছিলেন। স্বয়ং রাবণের কাছে সেই পরামর্শ শোনার পাশাপাশি রাবণকে দেখতেও ব্যস্ত ছিলেন সকলে। বহু মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়েও পড়েন।
গুরুগ্রাম পুলিশের তরফে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল দশেরার আগে। এক পুলিশ আধিকারিকই রাবণ সেজে হাজির হয়েছিলেন ব্যস্ত রাস্তায় মোড়ে। ট্রাফিক আইনের পাঠ দিচ্ছিলেন ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের। যাতে তাঁরা আগামী দিনে এই ভুল না করেন।
বিশেষ করে ২ চাকার আরোহীদের ট্রাফিক আইনমত যা পরা উচিত তার পাঠ দিচ্ছিলেন রাবণ। দশেরার আগে রাবণের নামটা সহজেই মাথায় আসে মানুষের। সেটাই কাজে লাগাল গুরুগ্রাম পুলিশ।
একদম রাবণকে দিয়েই ট্রাফিক আইন মেনে চলার পাঠ দিল তারা। যাতে কেবল ট্রাফিক আইনের পাঠ নেওয়াই নয়, অভিনবত্বের গুণে তা সকলের মনেও থাকে সেই চেষ্টাই ধরা পড়ল এই উদ্যোগে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা