মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে শুনে কনেযাত্রী নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা বাবা
মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে শুনে মেয়ের পরিবারের ওপর ঝড় বয়ে যায়। কিন্তু মেয়ের বিয়ে ধুমধাম করে দেওয়ার পর ডিভোর্সেও সমান আনন্দে মাতল মেয়ের বাড়ি।
ডিভোর্স হয়ে গেছে। মেয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চিরতরে বেরিয়ে আসছেন। হাতে একটি ট্রলি ব্যাগ। তাতেই হয়তো রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত যেটুকু সঙ্গে নেওয়ার জিনিস ছিল সেসব। এদিকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সামনে তখন কনের বাড়ির লোকজনের ভিড়। কনের বাবা নিজে রয়েছেন। সঙ্গে কার্যত কনেযাত্রী।
এঁরাই বিয়ের সময় আনন্দ করে এসেছিলেন বৌভাতের আনন্দ সন্ধ্যায় কনেযাত্রী হিসাবে শামিল হতে। তাঁরাই এসেছিলেন মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। সঙ্গে ঢাকঢোল।
সেই সঙ্গে অনেকেই মেয়ের পিতৃগৃহে ফেরত যাওয়ার পথে বাজি ফাটাতে ব্যস্ত। ফাটানো হচ্ছিল পটকা। আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। ভারতের মত দেশে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর তাঁর ডিভোর্স হয়ে গেছে জেনে মেয়ের পরিবারের ওপর কার্যত ঝড় বয়ে যায়।
বাবা মা মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। তাঁদের মুখের হাসি যায় মিলিয়ে। সেই পরিচিত দৃশ্যের একদম বাইরে গিয়ে ঠিক উল্টোটাই এক্ষেত্রে নজর কাড়ল।
প্রেম গুপ্তা নামে ওই ব্যক্তি মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়েই আনেননি। তিনি মেয়েকে ফেরানোর সেই উৎসবমুখর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করেন।
সেখানে দেখা গেছে ডিভোর্সের পর তাঁর মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। সঙ্গে কনেযাত্রীর মত তাঁর পরিবারের সকলে হাজির। তাঁরা আনন্দ করছেন, বাজি পোড়াচ্ছেন, ঢাকঢোল বাজানো হচ্ছে।
মেয়ে শ্বশুরঘর ছেড়ে আসার সময় প্রতিবেশি অনেক মহিলার সঙ্গে দেখা করছেন। রাস্তায় অনেকে এসব দেখে দাঁড়িয়েও পড়েন। প্রেম গুপ্তা মনে করেন, মেয়ে তাঁর কাছে পূর্ণ মর্যাদায় ফিরে যাবেন। সেখানে তাঁর বাড়িতেই মেয়ে থাকবেন। শ্বশুরবাড়িতে অমর্যাদা হলে মেয়ের তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে আসাই সঠিক বলে মনে করেন প্রেম গুপ্তা।
ডিভোর্সের পর একদম অন্য পথে হেঁটে যে নতুন উদাহরণ ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা প্রেম গুপ্তা তৈরি করলেন তার তারিফ করেছেন অনেকেই।