লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে কুমির নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে হাজির কৃষকরা
লোডশেডিং হচ্ছে। তার প্রতিবাদে অভিনব এক প্রতিবাদে শামিল হলেন কৃষকরা। তাঁরা কুমির নিয়ে হাজির হলেন বিদ্যুৎ দফতরে। ভয়ে আধখানা বিদ্যুৎকর্মীরা।
দিনের পর দিন বিদ্যুৎ থাকেনা। একেই এবার কম বৃষ্টি হওয়ায় জলাধারগুলিতে পর্যাপ্ত জলের অভাব রয়েছে। এদিকে ধান চাষের জন্য জলের প্রয়োজন। এই জলের জন্য বৃষ্টি এবার যথেষ্ট হয়নি। তাই জলসেচের সাহায্যেই সেই জলাভাব পূরণ করে ধান চাষ করতে হবে। এজন্য পাম্প চালানো দরকার।
কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় তাও করা যাচ্ছেনা। ফলে বিঘের পর বিঘে জমি জলের অভাবে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। অথচ লোডশেডিংয়ের বিরাম নেই।
এ নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ জমছিল কৃষকদের মনে। এবার তা ফেটে পড়ল। তাঁরা একটি জ্যান্ত কুমির কাঁধে করে হাজির হলেন বিদ্যুৎ দফতরে প্রতিবাদ দেখাতে। কিন্তু লোডশেডিংয়ের সঙ্গে কুমিরের কি সম্পর্ক? সম্পর্ক রয়েছে।
কয়েকদিন আগে কর্ণাটকের হুবলিতে একটি শুকনো জমিতে কুমিরটিকে শুয়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। কৃষ্ণা নদী থেকেই কুমিরটি উঠে এসেছিল বলে ধারনা কৃষকদের।
তারপর জল আর ভিজে মাটি না পেয়ে বার হতে পারেনি কুমিরটি। শুয়ে থাকা কুমিরটিকে কৃষকরা পাকড়াও করেন। তারপর সেই কুমিরকে নিয়েই বিদ্যুৎ দফতরে হাজির হন তাঁরা।
কুমির দেখে আতঙ্কে সিঁটিয়ে যান বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তাঁরা দ্রুত লোডশেডিং থেকে কৃষকদের রেহাই দেওয়ার আশ্বাসও দেন। এদিকে বন দফতরের কর্মীরা এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করেন। তারপর তাকে যথাস্থানে ছেড়ে দেন তাঁরা। কিন্তু এই কুমির নিয়ে প্রতিবাদের জেরে কাজ হয় কৃষকদের। এই খবরও হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে।