বাঘের বন্ধুর মতই এবার হাতিদের বন্ধু বানাচ্ছে সরকার
সীমানা পার করে লাগোয়া দেশ থেকে এসে এ দেশে হামলা চালাচ্ছে হাতির দল। তাদের সামাল দিতে হাতিদের বন্ধু তৈরি করতে এবার অন্য উদ্যোগ নিল সরকার।
সীমানা পার করে ঢুকছে হাতিরা। তারপর সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বিঘের পর বিঘে জমির ফসল নষ্ট করছে। এই হাতিদের তাড়াতে তাই গ্রামবাসীরাও সবরকম চেষ্টা চালান। ফলে হাতিদের সঙ্গে তাঁদের একটা সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যার জেরে মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
ফসল নষ্ট হওয়া, গ্রামবাসীদের মৃত্যু, এসবই হচ্ছে হাতিদের তাণ্ডবে। এই হাতিদের তাই ঠেকানো জরুরি। কিন্তু কীভাবে? এজন্য নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে আসা হাতিদের ঠেকাতে সীমান্ত লাগোয়া ১০০টি গ্রামের মানুষকে আগেও নানা পদ্ধতি শেখানোর চেষ্টা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
বারদিয়া-কাতারনিয়াঘাট করিডর ও তাতারগঞ্জ-শুক্লাফাঁটা করিডর, এই ২টি করিডর দিয়ে নেপাল থেকে প্রায়ই হাতিরা ভারতে প্রবেশ করে। তারপর ফসল নষ্ট করা, মানুষের ক্ষতি করার ঘটনা ঘটায়।
এই ১০০টি গ্রামের মধ্যে আবার ৫টি গ্রাম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। এই গ্রামগুলি থেকে ২০ জন করে গ্রামবাসীকে বেছে নিয়ে তাদের গজমিত্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে সরকার।
গজমিত্ররা হাতিদের থেকে এই গ্রামবাসীদের দূরে রাখবেন। তাঁদের ফসল রক্ষা করবেন। গজমিত্রদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে তাঁরা হাতিদের দূরে রাখতে সক্ষম হয়।
তাঁরা গ্রামের সীমানায় টহল দেবেন। হাতি আসছে কিনা তা বন দফতরকে জানাবেন। হাতিদের দূরে রাখতে তাঁদের নানা প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। নেপালের বন দফতরের সঙ্গেও এই গজমিত্ররা যোগাযোগ রেখে চলবেন।
এদিকে হাতি ঠেকাতে গিয়ে যাতে তাঁদের কোনও সমস্যা না হয় সেজন্যও নানা পদক্ষেপ করেছে সরকার। গজমিত্রদের প্রশিক্ষণ দিতে ও তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কলকাতার একটি এনজিও সংস্থা নিউজ-কে কাজে লাগাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা