মহাভারতের লাক্ষাগৃহ এবার স্বচক্ষে দেখার সুযোগ, দেখা যাবে পাণ্ডবদের পালানোর পথও
পাণ্ডবদের সপরিবারে পুড়িয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন দুর্যোধন। তৈরি করা হয়েছিল লাক্ষাগৃহ। সে গৃহে আগুনও ধরানো হয়েছিল। সেই লাক্ষাগৃহ এবার স্বচক্ষে দেখার সুযোগ আসছে হাতের মুঠোয়।
মহাভারতের অন্যতম এক অধ্যায় পাণ্ডবদের পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা। যে ষড়যন্ত্র দুর্যোধন রচনা করেছিলেন। সেইমত পাণ্ডবদের একটি গৃহে থাকার ব্যবস্থা করেন তিনি। যা ছিল পুরোটাই গালা দিয়ে তৈরি। যাকে অনেকেই জানেন জতুগৃহ নামে।
এই লাক্ষা বা গালা হল খুবই দাহ্য পদার্থ। আগুনের সংস্পর্শে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে এটি। সেই গালা দিয়ে একটি বাড়ি বানিয়ে তাতে পাণ্ডবদের রাখার ব্যবস্থা করেন দুর্যোধন। তারপর তাতে আগুনও ধরিয়ে দেন।
কিন্তু পাণ্ডবরা সেই জতুগৃহ থেকে পালাতে সক্ষম হন। একটি সুড়ঙ্গ পথে তাঁরা পালিয়ে যান। মহাভারত খ্যাত সেই লাক্ষাগৃহ রয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের হাণ্ডিয়া ব্লকে। যা এতদিন সেভাবে সংস্কার হয়নি। ফলে সেখানে পর্যটকদের ভিড় তেমন ছিলনা।
২০২৫ সালে মহাকুম্ভ আয়োজিত হতে চলেছে প্রয়াগরাজে। কোটি কোটি মানুষের ভিড় হবে সে সময়। তার আগেই পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ করে তোলা হচ্ছে মহাভারতের এই লাক্ষাগৃহকে।
এই লাক্ষাগৃহ দেখার পাশাপাশি পর্যটকরা আগুন লাগার পর সেই গৃহ থেকে কোন সুড়ঙ্গপথে পাণ্ডবরা গঙ্গার ধারে পালিয়েছিলেন তাও দেখার সুযোগ পাবেন।
তবে লাক্ষাগৃহ দেখার এই সুযোগ হাতের মুঠোয় আসলে আরও একটি জিনিসও দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। এই লাক্ষাগৃহ সংস্কারের পর সেখানেই রাখা থাকবে শ্রীকৃষ্ণের শঙ্খ পাঞ্চজন্য।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময়ও শ্রীকৃষ্ণের এই শাঁখের কথা জানতে পারা যায়। এই শাঁখটি চোখে দেখতে পাওয়া অবশ্যই পর্যটকদের জন্য বাড়তি পাওনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা