বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘণ্টা খুলতে যাওয়াটা সুখের হল না
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘণ্টা খোলার তো দরকার পড়ে। কিন্তু তা খুলতে যাওয়াটা সুখের হল না। দেশের এই সম্পদ কান্নাই ডেকে আনল।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘণ্টা বলে কথা। তা দেখতে বহু মানুষ হাজির হন রাজস্থানের কোটা শহরে। কোটা শহরের গা দিয়ে বয়ে গেছে চম্বল নদী। এই চম্বল নদীর ধার ঘেঁষে অনেকগুলি এমন স্থাপত্য রয়েছে যা দর্শনীয়। যার মধ্যে একটি অবশ্যই বিশাল একটি ঘণ্টা। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘণ্টা বলে পরিচিত।
এই ঘণ্টার পরিচর্যার কাজই চলছিল। কাজ করছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং এক শ্রমিক। চেষ্টা চলছিল ঘণ্টাটি খোলার। যাতে সেটির মেরামতির কাজ করা যায়।
একটি চৌকো মত জায়গায় উঠে সেখানে দাঁড়িয়ে ঘণ্টা খোলার কাজ চলছিল। ঘণ্টা নামানোর জন্য ক্রেনও তৈরি ছিল। তখন বিকেল ৩টে। আচমকাই ওই চৌকো বাক্স থেকে নিচে পড়ে যান ২ জন।
৩৫ ফুট ওপর থেকে সোজা নিচে এসে পড়েন ইঞ্জিনিয়ার দয়ানন্দ আর্য এবং শ্রমিক ছোটু। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ছোটুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দয়ানন্দের চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু তাঁকেও বাঁচানো যায়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘণ্টাকে নামিয়ে পরিচর্যার বন্দোবস্ত করতে গিয়ে যে ঘটনা এদিন ঘটে যায় তা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘণ্টাটি ৭৯ হাজার কেজি ওজনের।
ফলে তার ওজন সম্বন্ধে ধারনা পরিস্কার। তা যে ক্রেন ছাড়া নড়ানো যাবেনা তাও স্পষ্ট। এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে কীভাবে ওই ২ জন ওভাবে পড়ে গেলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা