National

মানুষের বাঘের পেটে যাওয়া আটকাতে বড় ভরসা একটি প্রাণির পায়খানা

জঙ্গলাকীর্ণ জায়গায় ছোট ছোট গ্রামে মানুষের বসবাস থাকে। সেখানে মাঝেমাঝেই বাঘের হানাও হয়। এবার বাঘের হানা থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে বড় ভরসা হল একটি প্রাণির পায়খানা।

জঙ্গলের গা ঘেঁষে মানুষের বসবাস নতুন নয়। মানুষ গ্রামে থাকেন বটে, তবে জঙ্গলের জানোয়ারদের সঙ্গে তাঁদের লড়াই লেগে থাকে। মানুষ বাঁচার জন্য, তাঁদের ফসল বাঁচানোর জন্য প্রাণিদের রুখতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আবার লেপার্ডের মত হিংস্র প্রাণির পেটে তাঁদের গবাদি পশু তো বটেই, এমনকি পরিজন বা প্রতিবেশিরাও চলে যান। প্রাণ যায় তাঁদের।

এক্ষেত্রে প্রাণিদেরও যেমন বাঁচাতে হবে, তেমন মানুষকেও বাঁচাতে হবে। সে রাস্তাই খুঁজে বেড়ান বন দফতরের আধিকারিকরা। এবার উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জঙ্গলে তাঁরা লেপার্ডকে মানুষের থেকে দূরে রাখতে, মানুষের বসতি থেকে দূরে রাখতে এক অভিনব উদ্যোগ নিলেন।


জঙ্গলে দেখা গেছে কিছু প্রাণি নিজেদের এলাকা অন্য প্রাণিদের বোঝাতে তাদের প্রস্রাব ও মলকে কাজে লাগায়। তার তীব্র গন্ধ বুঝিয়ে দেয় যে কাছেপিঠেই তারা রয়েছে। তাই এখানে না যাওয়াই ভাল।

অন্য প্রাণিরা সেই গন্ধ পেলেই বুঝে সেই দিকটা এড়িয়ে চলে। লেপার্ড এমন এক প্রাণি যারা হাতির এই প্রস্রাব ও পায়খানার তীব্র গন্ধে ভয় পায়। তারা ওই গন্ধ পেলেই বুঝতে পারে ওখানে হাতির পাল রয়েছে। তাই সেদিকটা এড়িয়ে চলাফেরা করে।


Elephant
হাতি, প্রতীকী ছবি

এই হাতির মলকেই এবার মানুষের বসতি থেকে লেপার্ডকে দূরে রাখতে ব্যবহার করছে উত্তরপ্রদেশের বন দফতর। প্রথমেই সেইসব জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে যেখানে মানুষের গ্রামে লেপার্ডের দৌরাত্ম্য খুব বেশি।

যেমন শিবপুর ব্লকে লেপার্ড হানায় জেরবার এখানকার ১২টি গ্রাম। লেপার্ডরা সবচেয়ে বেশি তুলে নিয়ে যায় শিশুদের। মানুষের বসতির চারপাশে হাতির মল ছড়িয়ে লেপার্ডদের সেখানে আসা রোখার চেষ্টা করছে বন দফতর। বেছে নেওয়া হয়েছে অন্য অনেক জঙ্গলের পাশের বসতিকেও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button