পাকড়াউয়াদের পাল্লায় পড়ে না চাইতেও বিয়ে হয়ে গেল শিক্ষকের
তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। কিন্তু পড়ে গেলেন পাকড়াউয়াদের পাল্লায়। ফলে তিনি না চাইলেও তাঁর বিয়ে হয়ে গেল এক তরুণীর সঙ্গে।
পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে চাকরিটা পেয়েছিলেন তিনি। চাকরি বলতে শিক্ষকের চাকরি। পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি। তাই তা সরকারি স্কুলেই হয়। রেপুরা নামে একটি গ্রামের একটি সরকারি স্কুলে তাঁর পোস্টিং হয়। তিনি সেখানে পড়াতে শুরু করেন। গত বুধবার বিকেলে তিনি তখনও স্কুলেই ছিলেন।
সেখানেই হাজির হয় একদল লোক। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই গৌতম নামে ওই শিক্ষককে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়ি ছোটে অজানা গন্তব্যে।
একটি এসইউভি গাড়িতে ৬ জন দুষ্কৃতি গৌতম কুমার রাইকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মাথায় বন্দুক ঠেকানো থাকায় গৌতম নামে ওই মাস্টারমশাই কিছু করেও উঠতে পারেননি। তাঁকে এক অজানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তাঁকে চাঁদনি কুমারী নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। তিনি সাফ জানান এ বিয়ে তিনি করতে চান না। কিন্তু তাঁর কোনও ওজর আপত্তি শোনা হয়নি। বরং বেশি আপত্তি করতে যেতেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে দাবি করেছেন গৌতম।
ঘটনাটি ঘটে বিহারের বৈশালী জেলায়। ঘটনার খবর পেয়ে গৌতমের পরিবারের লোকজন মহুয়া তাজপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গৌতমের কাছ থেকে সব ঘটনা শুনে একটি এফআইআর করে।
স্থানীয়দের দাবি, পাকড়াউয়া গ্যাংয়ের লোকজনই এই কাণ্ড করেছে। তারাই গৌতমকে এভাবে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা