পড়াশোনার নজর এবার দেওয়া হল জঞ্জালের ভ্যাটে
পড়াশোনার সঙ্গে জঞ্জালের ভ্যাটের সম্পর্ক কি এটা মনে হতেই পারে। কিছুটা অন্যরকম শোনালেও এটাই কিন্তু হচ্ছে। কি হচ্ছে ব্যাপারটা?
জঞ্জাল ফেলার জন্য একটি বড়সড় ঘেরা জায়গা। এমনটা তো রাস্তায় চলতে গেলে মাঝেমাঝেই নজরে পড়ে। যেখানে এলাকার সব জঞ্জাল একত্র করে ফেলে দিয়ে যান সাফাইকর্মীরা। তারপর সেখান থেকে তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই জঞ্জাল ফেলার জন্য ভ্যাটগুলি এবার নজরে পড়ল প্রশাসনের।
এই জঞ্জাল ফেলার বেশ কয়েকটি ভ্যাট বেছে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই সব জঞ্জালের ভ্যাটকে পুরো সাফ করে ফেলে সেখানকার আমূল পরিবর্তন করে সেখানে অন্য কিছু তৈরি করার।
আপাতত ৫টি এমন ভ্যাটকে বদলে ফেলা হয়েছে। সেসব ভ্যাটে আর জঞ্জাল ফেলা হয়না। সেখানে তাকে তাকে উঁকি দেয় নানা বিষয়ের বই। যা স্থানীয় ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বই পড়তে ইচ্ছুকদের মন ভাল করে দিয়েছে। সহজ কথায় ভ্যাট বদলে গিয়ে রাতারাতি সেখানে তৈরি হয়েছে লাইব্রেরি।
মণিপুরের তামেঙ্গলং জেলার জেলিয়াংরং নামে জায়গায় এই পথ লাইব্রেরি তৈরি চলছে। জেলা প্রশাসনের তরফেই উদ্যোগ নিয়ে এই কাজ শুরু হয়েছে।
এক এক করে বিভিন্ন ভ্যাটকে ভোল বদলে রূপ দেওয়া হচ্ছে লাইব্রেরির। জঞ্জালের জন্য আলাদা জায়গায় স্থির করেছে প্রশাসনই। ইম্ফল থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জেলিয়াংরং শহরে এখন এই পথ লাইব্রেরি অন্যতম আলোচ্য হয়ে উঠেছে।
যা স্থানীয়দের মধ্যে পড়াশোনার ইচ্ছাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। হাতের মুঠোয় নানা বই পেয়ে খুশি বইপ্রেমীরাও। আগামী দিনে আরও ভ্যাটকে এমন পথ লাইব্রেরির রূপ দিতে চাইছে প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা