হৃদরোগের চিকিৎসার আগে ধর্মগ্রন্থের সাহায্য নিচ্ছেন এক চিকিৎসক
তিনি একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। প্রয়োজনে অপারেশনও করেন। তবে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য তিনি ধর্মগ্রন্থের সাহায্য নেওয়া শুরু করেছেন। আর তাঁর দাবি তাতে দারুণ কাজ হচ্ছে।
তিনি একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। বেশ সুনামও রয়েছে চিকিৎসক হিসাবে। রোগীদের প্রয়োজন পড়লে অপারেশনও করেন। সেই চিকিৎসকের নাম এবার চিকিৎসক হিসাবে নয়, বরং ধর্মগ্রন্থের সাহায্য নেওয়া চিকিৎসক হিসাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা তাঁর নিজের মস্তিষ্ক প্রসূত।
রোগীরা তাঁর কাছে চিকিৎসার জন্য এলে চিকিৎসক তাঁদের পরীক্ষা করেন। কারও অপারেশনের দরকার পড়ে। কারও দীর্ঘ চিকিৎসার দরকার পড়ে। এমনকি অনেককে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়।
ওই চিকিৎসকের দাবি, তিনি লক্ষ্য করেছেন রোগীরা অপারেশন বা হাসপাতালে ভর্তির কথা শুনলে ঘাবড়ে যান। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চিন্তায় পড়ে যান। যার প্রভাব চিকিৎসা করতে গেলে পড়ে।
রোগী যত ভাল মনে থাকবেন তাঁর ওপর চিকিৎসার প্রভাবও ভাল পড়বে। কানপুরের লক্ষ্মীপত সিংঘানিয়া ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড কার্ডিয়াক সার্জারি-র চিকিৎসক নীরজ কুমার তাই এখন রোগীরা এই হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁদের হাতে একটি করে ধর্মগ্রন্থ বা আধ্যাত্মিক গ্রন্থ তুলে দেন। যে তালিকায় যেমন ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত’ রয়েছে, তেমনই রয়েছে ‘হনুমান চালিশা’, ‘ভগবদগীতা’।
নীরজ কুমারের দাবি, তিনি দেখেছেন যে রোগীরা এইসব বই পড়েন তাঁদের মনের জোর বাড়ে। তাঁরা চিকিৎসায় ভাল সাড়া দেন। এমনকি অপারেশনের পরও তাঁরা দ্রুত সুস্থ হতে থাকেন। রোগীরা যখন হাসপাতাল থেকে বাড়ি যান তখনও তাঁদের মন বেশি ভাল থাকে।
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন এ হাসপাতালে রোগীদের খবরের কাগজ পড়তে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে রোগীদের মনের জোর বৃদ্ধি হচ্ছিল না। কিন্তু তিনি এইসব গ্রন্থ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার পর রোগীদের মনের জোর অনেকটা বেড়েছে।
প্রসঙ্গত এসব বই কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিনে দেয়না। চিকিৎসক নীরজ কুমার নিজে এসব বই কিনে তাঁর রোগীদের হাতে তুলে দেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা