৪০ দিনের জন্য অন্য ঠান্ডার জগতে পা রাখল কাশ্মীর
কাশ্মীরে ঠান্ডার ইনিংস শুরু হয়েছে অনেকদিনই। বরফও পড়ছে। কিন্তু এবার অন্য ঠান্ডার ইনিংস শুরু করল কাশ্মীর। চলবে ৪০ দিন ধরে।
বছরের যে সময়ই কাশ্মীরের কথা বলা হয় তখনই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাদা বরফের চাদরে ঘেরা পাহাড়, উপত্যকা, শহর, গ্রাম, রাস্তা। সেটা চোখের সামনে ভেসে উঠলেও বাস্তবে কাশ্মীরে কিন্তু গরমের সময় সবুজে ভরা থাকে। তখন বরফ থাকেনা। পাহাড়ের উপরে অবশ্য সারাবছরই বরফের টুপি থাকে। তবে সেখানে মানুষ যায়না।
কাশ্মীরে ঠান্ডা বর্ষা কাটার পরই পড়ে যায়। দুর্গাপুজোর সময় কিন্তু কাশ্মীরে বেশ ঠান্ডা। কয়েক জায়গায় টুকটাক বরফও পড়তে থাকে। সেই ঠান্ডা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
ডিসেম্বরে তো চারধার বরফের পুরু চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে। অনেক রাস্তা বন্ধ। স্থানীয় মানুষ চরম সমস্যায় দিন কাটান। আর তার মধ্যেই ২১ ডিসেম্বর থেকে সেখানে শুরু হল অন্য ঠান্ডার ইনিংস। যা ৪০ দিন ধরে চলবে। এই ঠান্ডাকে স্থানীয়রা বলেন ‘চিল্লাই কলন’। যার আয়ু ৪০ দিন।
এই ৪০ দিনে শুধু বরফ পড়া ঠান্ডা নয়, আরও এক ভয়ংকর তীব্র ঠান্ডার কবলে পড়ে কাশ্মীর। দৃশ্যমানতা তলানিতে ঠেকে। এমন ঠান্ডা যা স্থানীয়রা সহ্য করে নিলেও বাইরে থেকে সেখানে গিয়ে সেই ঠান্ডা সহ্য করা যায়না।
জনজীবনের স্বাভাবিক গতি এ সময় প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় কাশ্মীরের অধিকাংশ জায়গায়। এই ৪০ দিনের চিল্লাই কলন হল এক বছরে কাশ্মীরের সবচেয়ে ঠান্ডার সময়।
চিল্লাই কলন শেষ হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। তারপর থেকে ক্রমে কাশ্মীরে বসন্ত আসবে। তারপর বরফ গলে সবুজে ভরে যাবে প্রকৃতি। কিন্তু তার আগে এই সবে শুরু হল চিল্লাই কলন।
এখন ৪০ দিনের অসহ্য ঠান্ডা সহ্য করেই সেখানে জীবন কাটাতে হবে স্থানীয় মানুষকে। ইতিমধ্যেই লেহ-র পারদ মাইনাস ১৪.৩ ডিগ্রিতে নেমেছে। দ্রাসে মাইনাস ১৩ ডিগ্রি। কার্গিলে মাইনাস ১২.৬ ডিগ্রি। শ্রীনগর মাইনাস ৪.৪ ডিগ্রি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা