আপেলে কালো ছায়া, জোড়া ফলায় বদলে যাচ্ছে চেনা আপেল
আপেল মোটামুটি সারাবছরই পাওয়া যায়। সেই চেনা আপেল এবার বদলে যাচ্ছে। ক্রমশ অচেনা আপেলের রূপ নিচ্ছে। তার জন্য আঙুল উঠছে জোড়া ফলার দিকে।
প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে চিকিৎসক দূরে থাকেন। এ এক পরিচিত প্রবাদ। যা দিয়ে আপেল খাওয়ার উপকারিতাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আপেল যেমন খেতে সুস্বাদু, তেমনই তার উপকারিতা। ভারতে মূলত ২ ধরনের আপেল সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। যা ২টি জায়গায় হয়। ২টি সময়ে হয়। একটি হল কাশ্মীরের আপেল। অন্যটি হিমাচলের আপেল।
হিমাচল প্রদেশের আপেলে এখন এক কালো ছায়া পড়েছে। যার জেরে সেখানে ক্রমশ কমছে আপেলের ফলন। বদলে যাচ্ছে আপেলের চেহারা। স্বাদেও বদল হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে আপেল চাষের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের।
হিমাচলের আপেলের এমন রূপ বদলের জন্য ২টি কারণকে সামনে আনা হচ্ছে। একটি হল বদলাতে থাকা জলবায়ু। অন্যটি হল সেই বদলে যাওয়া জলবায়ুর প্রভাবে সঠিক সময়ে কম তুষারপাত, হঠাৎ করে অতিরিক্ত গরম, আচমকা হানা দেওয়া খরা পরিস্থিতি।
এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃতির এই পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি পড়ছে আপেল চাষের ওপর। যা আপেলের মোট ফলন কমিয়ে দিচ্ছে। আপেলের স্বাদ বদলে চেনা আপেলকে অচেনা করে তুলছে।
আপেলের চেনা চেহারা ও রংও যাচ্ছে বদলে। গত কয়েক বছরে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে হিমাচলে যেভাবে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক উত্থান পতন হতে থেকেছে তার প্রভাব পড়েছে বসন্তের সময় আপেল গাছে ফুল ধরায়।
দেখা যাচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই আপেল ফুল সঠিক সময়ে গাছ ভরিয়ে দিচ্ছেনা। এই পরিস্থিতি কিন্তু আগামী দিনে হিমাচলের আপেল চাষের জন্য কালো দিন ডেকে আনছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা