দোষের মধ্যে ছেলেদের সঙ্গে কথা বলত সে। গল্প করত। সেই ‘অপরাধ’-এর মর্মান্তিক গুনাগার দিতে হল ১৩ বছরের কিশোরী রাধিকাকে। পুলিশ রাধিকার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, পুড়িয়ে নয় তাকে প্রথমে খুন করে তারপর পোড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন হল?
পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার মেয়েটি স্কুল শেষে স্কুলেরই ছেলেদের সঙ্গে কিছুক্ষণ স্কুলের বাইরে কথা বলে। তা তার বাবার নজরে পড়ে। যা একেবারেই নাপসন্দ ছিল রাধিকার বাবার। মেয়ে বাড়ি ফিরলে তার বাবা নরসিমা ছেলেদের সঙ্গে কথা বলার অপরাধে প্রথমে মেয়ের মাথা দেওয়ালে ঠুকে থেঁতলে দেয়। তারপর শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করে। এরপর রাধিকার দেহ পুড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা বাবা-মা। কিন্তু তা প্রতিবেশিদের নজরে পড়ে যায়। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাধিকার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রের নালগোণ্ডা জেলার থিদেধু গ্রামে। মৃত কিশোরীর বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।