পাঁচিলে নাক ডেকে ঘুমাল রয়্যাল বেঙ্গল, রাত জাগল গোটা পাড়া
তিনি দিব্যি ঘুম দিলেন। বেছে নিলেন ইটের পাঁচিল। তার ওপর নিশ্চিন্ত নিদ্রায় তিনি রইলেন বটে, তবে তার জেরে বিনিদ্র রজনী কাটালেন বাকিরা।
সব ছেড়ে তার পছন্দ হয় বাড়ির ইটের পাঁচিল। তাও আবার ভরা লোকালয়ে। চারধারে বাড়িঘর, দোকানপাট। সেখানে রয়েছে একটি গুরুদ্বার। গুরুদ্বারের ইট সিমেন্টের পাঁচিলের ওপরটাই তার কেন পছন্দ হয়েছিল তা জানা নেই। তবে সেটাই বেছে নিল সে। আর এমন জায়গা বেছে নিল যে সে দিব্যি ঘুম দিলেও তাকে গোটা পাড়া দেখতে পাচ্ছে।
শুধু কি দেখতে পাচ্ছে! ভয়ে সিঁটিয়েও যাচ্ছে। একবার যদি ঘুম ভেঙে লম্বা লাফ দেয় তাহলে কারও আর রক্ষে নেই। রয়্যাল বেঙ্গলের থাবার একটা ঘা প্রাণপাখি উড়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। ফলে বাঘ পাঁচিলে চড়ে ঘুমোলেও গোটা পাড়া রাতে দুচোখের পাতা এক করতে পারল না। খবর গেল বন দফতরেও।
বন দফতরের কর্মীরা হাজির হন উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের আটকোনা গ্রামে। সেখানে তখন রাতজাগা শত শত মুখে আতঙ্কের ছাপ। কারও বাড়ির ছাদ, বারান্দা, জানালা বাকি নেই। সর্বত্র গ্রামবাসীদের ভিড়।
সকলেই চেয়ে আছেন পাঁচিলের ওপর ঘুমিয়ে থাকা বাঘের দিকে। যদিও বাঘের তাতে হেলদোল কিছু হয়নি। বন দফতরের কর্মীরা অবশ্য ঘুম পাড়ানি গুলি চালিয়ে বাঘকে কাবু করেন।
চারধার ঘিরে ফেলা হয় জাল দিয়ে। এরপর ঘুমিয়ে পড়া বাঘকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বন কর্মীরা। পাশের অভয়ারণ্য থেকেই এ বাঘটি এই লোকালয়ে প্রবেশ করেছিল তা পরিস্কার বন দফতরের কাছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা