ছোট হচ্ছে সমুদ্রসৈকত, পালাচ্ছে মাছেরা, এসব কি হচ্ছে
সমুদ্রসৈকত ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। আবার মাছেরা যেখানে সমুদ্রের ধারে এসে ডিম পাড়ছিল তারাও পালাচ্ছে। আবার ফলের ফলনও কমেছে। কি হচ্ছে এসব।
সমুদ্রই এখানে অর্থ রোজগারের উপায়। সমুদ্রের ধারের একাধিক বিচ এখানে টেনে আনে দেশ বিদেশের পর্যটকদের। তাঁরা এসে এখানে বেড়ান, সমুদ্রের ধারে সময় কাটান, সমুদ্র স্নান করেন, রৌদ্র স্নান করেন, স্যাকে খাওয়াদাওয়া করেন, হোটেলে থাকেন, স্থানীয় জিনিসপত্র কেনেন, খাবার চেখে দেখেন। নানা দ্রষ্টব্য স্থান ঘুরে দেখেন।
আর পর্যটকদের এই বছরভর উপচে পড়া ভিড়ের হাত ধরেই বেঁচে থাকেন এখানকার মানুষ, বেঁচে থাকে অর্থনীতি। কিন্তু সেখানেই এবার গ্রহণের কালো ছায়া।
গোয়ার অর্থনীতি বেঁচে আছে তার পর্যটককে ভরসা করে। সেই গোয়ায় এবার ছোট হয়ে যাচ্ছে বিচগুলি। ক্রমশ সমুদ্রের ধারের বালুকাবেলা ছোট হচ্ছে। হিসাব বলছে ইতিমধ্যেই ১৫ শতাংশ ছোট হয়ে গেছে সেগুলি। আরও ছোট হবে। কারণ সমুদ্রের জল বাড়ছে। বন্যা হচ্ছে। অসময়ে বৃষ্টি নামছে।
মোদ্দা কথা বদলে গেছে জলবায়ু, আবহাওয়া। বিশ্বজুড়েই যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে তার প্রভাব যে গোয়াতেও পড়েছে তা বলাই বাহুল্য।
শুধু কি তাই! গোয়ার মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন সমুদ্রের ধার ধরে ক্রমশ ভূমিক্ষয় এখানে মাছদের আনাগোনা কমিয়ে দিয়েছে। মাছেরা গোয়ার ধার ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিচ্ছে ডিম পাড়তে।
এ তো গেল জলের কথা। গোয়ার অন্যতম ফল হল কাজুবাদাম। সেই কাজুর ফলনেও নাকি এই আবহাওয়ার পরিবর্তন কালো ছায়া ফেলেছে। কাজুর ফলন উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে। যা এখানকার কাজু চাষের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
পরিবেশবিদরা মনে করছেন, গোয়ার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। নাহলে গোয়ার পর্যটন শিল্পই ধ্বংস হয়ে যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা