নদীর ধারে একান্তে সময় কাটানোর সুব্যবস্থা পেতে চলেছে কচ্ছপরা
কচ্ছপরাও এবার পেতে চলেছে নিজেদের মত করে একান্তে কাটানোর জন্য একটি এলাকা। নদীর ধারে শান্তির নীড় পাচ্ছে এই উভচররা।
বাঘরা পেয়েছিল। সিংহরাও পেয়েছিল। গণ্ডার, কুমিররাও পেয়েছিল। এবার কচ্ছপদের পালা। তারাও একান্তে নিজেদের আত্মীয়, পরিজন, বন্ধুবান্ধব, পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর সুব্যবস্থা পেতে চলেছে। গঙ্গার পাড়েই তারা পাচ্ছে এমন এক স্থান যা তাদের একান্ত আপন হবে।
যেহেতু তারা জল ও স্থলে সমান স্বচ্ছন্দ তাই তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই গঙ্গার পার দেওয়া হচ্ছে তাদের। যেখানে তারা চাইলে জঙ্গলেও ঘুরতে পারবে। আবার ইচ্ছা হলে গঙ্গার জলেও নেমে বেড়িয়ে আসতে পারবে।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কোঠারি গ্রাম সংলগ্ন ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বিশেষ জঙ্গল উপহার পেতে চলেছে কচ্ছপরা। যেখানে তৈরি হচ্ছে একটি কচ্ছপ অভয়ারণ্য।
এখানে নানা প্রজাতির কচ্ছপরা নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবে। তাদের খাওয়াদাওয়ার অভাব হবেনা। আবার কোনও খাঁচা বা ঘেরাটোপের মধ্যে নয়, প্রকৃতির বুকেই তারা নিজেদের মত করে জীবন কাটাতে পারবে।
গঙ্গার ধারেই এই কচ্ছপ অভয়ারণ্যের জন্য একটি বন দফতরের অফিস তৈরি হচ্ছে। যেখানে থাকবেন একজন রেঞ্জার, ৮ জন ফরেস্ট ইন্সপেক্টর, ১৬ জন কনস্টেবল, ১২ জন অন্যান্য কাজের জন্য কর্মী। এঁরাই থাকবেন কচ্ছপ অভয়ারণ্যের ভালোমন্দের দায়িত্বে।
৭৬টি গ্রামের আশপাশ জুড়ে থাকা জঙ্গলকেই এই অভয়ারণ্যের জন্য ব্যবহার করা হবে। ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিনিধিরাও এই অভয়ারণ্য ঘুরে দেখেছেন।
প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপের পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা। যার মধ্যে রয়েছে অন্তত ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির প্রস্তাব। কয়েক হাজার কচ্ছপ এই অভয়ারণ্যে নিশ্চিন্তে জীবন কাটাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা