কিচ্ছু দেখা যাচ্ছেনা, অন্ধ হয়ে গেল রাজধানী
কিচ্ছু দেখা যাচ্ছেনা। রাস্তাঘাট, গাড়িঘোড়া, গাছপালা কিচ্ছু না। ভোর হতেই অন্ধ হয়ে গেল দেশের রাজধানী। জারি হয়ে গেল লাল সতর্কতা।
ভোর হওয়ার অপেক্ষা। রাস্তাটাই আছে কিনা বোঝা যাচ্ছেনা। সামনে রাস্তা না বাড়ি নাকি দেওয়াল নাকি গাড়ি, কিচ্ছু বোঝার উপায় নেই। মোটা পুরু সাদা চাদরে চারধার ঢাকা পড়েছে। চোখের সামনে কি রয়েছে বোঝার উপায় নেই। এমনই ভয়ংকর কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ল খোদ রাজধানী দিল্লি।
রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বার হওয়ার উপায় নেই। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটবে। সামনে থাকা যে কোনও কিছুতে ধাক্কা মেরে দিতে পারেন চালক। দোষ নেই। কিছুই তো দেখা যাচ্ছেনা।
অতি পুরু কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। জারি করেছে লাল সতর্কতা। একের পর এক দুর্ঘটনার খবর এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে।
শতাধিক বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। দিল্লিগামী ট্রেনগুলি অতি মন্থর গতিতে এগোচ্ছে বা কোথাও দাঁড়িয়ে আছে। এক দুর্বিষহ কুয়াশার হানায় কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন দিল্লিবাসী।
রাস্তায় তো প্রাণ হাতে করে যাতায়াত। হেঁটে রাস্তায় বার হলেও সামনে দেখা যাচ্ছেনা। তাই নেহাত বাধ্য না হলে বাড়িতে থাকাই এখন শ্রেয়।
শুধু দিল্লি বলেই নয়, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ জুড়ে এমনই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এমন অন্ধ করে দেওয়া কুয়াশার পুরু আবরণ এ বছর এদিনের আগে নজরে পড়েনি।
দিল্লি ছাড়াও পাটিয়ালা, লখনউ, কানপুর সবই কুয়াশার চাদরে ঢাকা। সর্বত্রই দৃশ্যমানতা ২৫ থেকে খুব বেশি হলে ৫০ মিটারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি অমৃতসরের। সেখানে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। শূন্যতে ঠেকেছে দৃশ্যমানতা। ফলে দিল্লির মত অমৃতসরও অন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে এখনই এই কুয়াশার হানা থেকে রেহাই মিলছে না।