টয়লেটের ধারে বসে আছে লাল চোখের ভূত, ভয়ে পালালেন ২ মহিলা
মহিলাদের টয়লেটের মাঝখানে মেঝের ওপর বসে আছে ভূত। তার চেহারা দেখার পর ভয়ে সেখান থেকে আর্তনাদ করে পালিয়ে এলেন ২ মহিলা।
পরনে আলুথালু শাড়ি। মাথায় ঘোমটা। মুখের কিছুটা অংশ ঘোমটায় ঢাকা। ২টো চোখ লাল টকটক করছে। সেই ২টো চোখে সে সরাসরি চেয়ে আছে ভয়ংকর দর্শন নিয়ে। মুখটা সাদা বিবর্ণ। আধো অন্ধকারে আরও ভয়ংকর দেখাচ্ছে তাকে। টয়লেটের ঠিক মাঝখানের মেঝেতে সে বসে আছে।
টয়লেটে ঢুকলেই তার মুখোমুখি হতে হবে মহিলাদের। রাত তখন ১০টা। তার আগে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের নজরে কিছু পড়েনি। কিন্তু রাত ১০টায় ২ জন মহিলা পরপর ঢোকেন। আর ২ জনই ভয়ে আর্তনাদ করে সেই ভূতকে দেখে ছুটে বেরিয়ে আসেন টয়লেট থেকে।
পুরো ঘটনা খুলে বলেন সকলকে। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে মহিলারা আর কেউই সেখানে যাওয়ার সাহস দেখাননি। এমনকি কোনও পুরুষও ভিতরে ঢুকে দেখার সাহস দেখাতে পারেননি।
টয়লেটে ভূত বসে আছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। ফলে সেদিন রাতটা আর কেউ ঘুমোতে পারেননি। পরদিন সকালে সূর্য ওঠার পর কয়েকজন অনেকটা সাহস বুকে করে টয়লেটে প্রবেশ করেন।
আর করতেই সোজা পড়েন ভূতের সামনে। প্রাথমিক আতঙ্ক কাটিয়ে তাঁরা চিৎকার করে ভূতকে কিছু করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভূত নড়েনি। বরং যেমন সোজা তাঁদের দিকে চেয়েছিল তেমনই লাল চোখে চেয়ে থাকে।
এরপর আরও একটু সাহস করে কয়েকটি পাথর ভূতের দিকে তাক করে ছোঁড়েন সকলে। এবার ভূত যায় ধপ করে পড়ে। শাড়িও যায় খুলে। এবার ভয় ভাঙে। সকলে এগিয়ে গিয়ে দেখেন ওটা ভূতের মত করে সাজানো একটা পুতুল।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাতারার লোনারগলি এলাকায়। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এটা ৩ মহিলা ও এক নাবালকের কাজ। তাদের আটক করা হয়। কিন্তু কেন তারা এমনটা করেছে, তা পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা