আর প্রবাদ নয়, এবার সত্যিই চুরি হয়ে গেল আস্ত পুকুর
পুকুর চুরির প্রবাদ অনেকেরই জানা। কিন্তু তা প্রবাদ হিসাবেই ব্যবহার হয়। তা যে বাস্তবেও হয় তা এবার দেখা গেল। চুরি হয়ে গেল পুকুর।
পুকুর চুরি হয়ে গেল। ছিল পুকুর, হয়ে গেল মাঠ। সেই মাঠের ওপর আবার রাতারাতি গজিয়ে উঠল একটি কুঁড়েঘরও। কোথায় পুকুর, কোথায় কি! যেখানে এতকাল ধরে স্থানীয় মানুষ মাছ ধরে আসছেন। পুকুরের জলে স্থানীয়রা নানা কাজ সেরে এসেছেন, সেই পুকুরটাই তো নেই! পুরোটাই গায়েব হয়ে গেছে। চোখের সামনে থেকে পুকুরটা গায়েব হয়ে গেল! যা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা।
বিশাল পুকুরের জল ছিল স্থানীয় মানুষের বড় ভরসা। সেই পুকুরের দিকে নজর পড়ে এক জমি মাফিয়ার বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সে আচমকাই পুকুর বোজানো শুরু করে দেয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ জানান প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা এসে কাজ বন্ধও করে দেন। কিন্তু তাতে ওই মাফিয়াকে রোখা যায়নি।
দিনে কিছু না করলেও রাত নামলেই পুকুর বোজানোর কাজ পুরোদমে চালাতে থাকে সে। অভিযোগ এমনই। দিন ১৫-র মধ্যেই বিশাল পুকুর বুঝিয়ে সেখানে মাঠ তৈরি হয়ে যায়।
দেখে কারও বোঝার উপায় নেই যে কদিন আগেও সেখানে বিশাল একটি টলটলে জলের পুকুর ছিল। এমনকি মাঠ করে ফেলার পর সেখানে একটি কুঁড়েঘরও রাতারাতি তৈরি হয়ে যায়।
স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ফের প্রশাসনিক আধিকারিকরা সেখানে হাজির হন। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত জমি মাফিয়া সেখান থেকে পালায়। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দ্বারভাঙা জেলায়। যেখানে জমির দাম রকেট গতিতে বাড়ছে।