বিয়ের আসর সাজিয়ে বর বসে রইল, কনেও এল না, ঘটকও ফোন ধরল না
বিয়ের জন্য সব আয়োজন করে বরকে নিয়ে বরপক্ষের সকলে অপেক্ষায় রইলেন কনের। কিন্তু কনে এল না। ঘটককেও ফোনে পাওয়া গেলনা।
ঘটকের সাহায্যেই ছেলের বিয়ে ঠিক করেছিল এক পরিবার। বাড়ির অভিভাবকরা ঘটকের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে স্থির করেন। কনের বাড়ি অনেক দূরে। তাই ঘটক নিজেই দায়িত্ব নিয়ে ২ পক্ষের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যাবতীয় কথা চালাচ্ছিল। বরপক্ষের সঙ্গে সরাসরি দেখা না হলেও কনে পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছিল।
কিন্তু বর বা কনে পক্ষের কেউ কাউকে সামনাসামনি দেখেননি। ঘটক বর পক্ষকে আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি যখন আছেন তখন কিছু ভাবার দরকার নেই। বরের বাড়ির সকলে ঘটককে চোখ বুজে বিশ্বাসও করেছিলেন।
সেইমত আয়োজনও করেছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন কখন কনেকে নিয়ে কনের বাড়ির লোকজন হাজির হবেন। কিন্তু সময় গড়িয়ে যেতে থাকে। কিন্তু কনের বাড়ির টিকি দেখা যায়নি।
সময় গড়িয়ে যেতে থাকলে অগত্যা বরের বাড়ির লোকজন ঘটককে ফোন করতে থাকেন। উদ্বিগ্ন বরপক্ষের সে ফোন ঘটক ধরেনি বলেই অভিযোগ। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কনেপক্ষের দেখা না মেলায় এবং ঘটক ফোন না ধরায়, অগত্যা পুলিশে অভিযোগ জানায় জম্মু কাশ্মীরের বারামুলার হাদপোরা গ্রামের ওই পরিবার।
পুলিশকে তাঁরা জানান ঘটকের মতে রাজৌরির বাসিন্দা কনে। কিন্তু কনে বা তার পরিবার বিয়ের দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩-এ বর্ষশেষের দিন বিয়ের আসরে হাজির হয়নি। ঘটককে ফোন করেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
অথচ এই বিয়ের জন্য ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা তাঁরা ঘটককে দিয়ে বসে আছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ওই ঘটককে শ্রীনগর থেকে পাকড়াও করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা