National

আন্তর্জাতিক হচ্ছে ভারতের পেটকাটি, চাঁদিয়াল, রংবাজিতে আকাশ মাতাবে বিদেশিও

ভারতে ঘুড়ি ওড়ানোর পরম্পরা বহু প্রাচীন। আকাশের সেই পেটকাটি, ময়ূরপঙ্খী, মোমবাতি, চাঁদিয়ালরা এবার আন্তর্জাতিক জুতোয় পা গলাতে চলেছে। প্রাচীন শহরে এই প্রাচীন রীতি এবার হবে আন্তর্জাতিক।

ভারতে ঘুড়ির ইতিহাস নেহাত নতুন নয়। মনে করা হয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভারত প্রথম ঘুড়ি দেখে। তখন তা ছিল রাজাদের খেলা। দীর্ঘদিন ধরেই তা রাজা, নবাব, বাদশাদের বিনোদনের মাধ্যম ছিল। সাধারণের হাতে তার পরে পৌঁছয় ঘুড়ি। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ঘুড়ি ওড়ানোর চল বেশ প্রাচীন।

ভারতে এখন যে ঘুড়ি দেখা যায় সাধারণ মানুষের হাতে তা মূলত চৌকো হয়। ঘুড়ি কিন্তু আকারে অন্যরকমও হয়। গুজরাটের ঘুড়ি উৎসবে এমন নানা আকারের ঘুড়ি আকাশে উড়তে দেখা যায়। তবে এবার গুজরাট নয়, ভারতের ঘুড়ি ওড়ানোর প্রাচীন পরম্পরা আন্তর্জাতিক হতে চলেছে অন্য এক প্রাচীন শহরে।


অযোধ্যায় একটি আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব পালিত হতে চলেছে রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে। রাম মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে আগামী ২২ জানুয়ারি। তার আগেই অনুষ্ঠিত হবে এই রঙিন উৎসব।

ঘুড়ি ওড়ানোয় ভারত সেরাদের যেমন এই উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, তেমনই এই উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা ঘুড়ি উড়িয়েদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।


ফলে নানা আকারের নানা চেহারার ঘুড়ি আকাশের বুকে ভেসে বেড়াবে এই উৎসবে। একটি এজেন্সিকে এই আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে।

ভারতে মকরসংক্রান্তির দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন বহুদিনের। সেই মকরসংক্রান্তিকে সামনে রেখেই অযোধ্যার আকাশ রঙিন হবে দেশি বিদেশি ঘুড়িতে। দক্ষ হাতের কসরতে তা আকাশে রাজত্ব করে বেড়াবে।

যেখানে এই আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব আয়োজন করা হচ্ছে সেখানে ৭৫০ জনের বসার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিশেষ আমন্ত্রিতদের জন্য ৫০টি ভিভিআইপি আসন থাকবে। এছাড়া ৩৫০টি কুশন দেওয়া চেয়ার এবং ৩৫০টি আরও চেয়ার থাকবে অতিথিদের বসার জন্য। থাকবে মিলেট ও স্থানীয় স্বাদের নানা খাবারও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button