বিয়ের আগে রোমান্টিক হওয়ার খরচ বাড়ল
বিয়ের আগে পাত্রপাত্রী প্রকাশ্যেই বেশ রোমান্টিক হয়ে উঠতে চাইলে তার উপায় রয়েছে। তবে সেসব উপায় এবার খরচ সাপেক্ষ হল।
নবাবি রোমান্টিক চালে বিয়ের আগে পাত্রপাত্রী একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেই পারেন। প্রকাশ্যেই হতে পারেন। সিনেমার নায়ক নায়িকার মাখোমাখো দৃশ্যের নকলও করতে পারেন। নিজেদের মত করেও কাছাকাছি আসতে পারেন তাঁরা। সেসব উপায় এখন রয়েছে। যাকে বলে প্রি-ওয়েডিং শ্যুট।
বিয়ের আগে কোনও সুন্দর জায়গায় পৌঁছে ক্যামেরার সামনে রোমান্টিক হয়ে ওঠার চল এখন আর নতুন নেই। বেশ পুরনোই হতে চলেছে। প্রি-ওয়েডিং বা বিয়ের আগেই রোমান্টিক ফটোশ্যুটের জন্য রোমান্টিক জায়গা তো দরকার।
অনেকেই শহরের কোনও দ্রষ্টব্য স্থানকে সেজন্য বেছে নেন। যার সামনে বা যার মধ্যে ছবি তোলা যায়। নবাবি শহর লখনউতেও অন্য শহরের মত বেশ কয়েকটি দ্রষ্টব্য স্থান রয়েছে। যেমন রুমি দরওয়াজা, বড়া ইমামবাড়া, ছোটা ইমামবাড়া, সাতখণ্ড, ঘড়িঘর এবং এমন নানা পর্যটনস্থল।
এসব জায়গায় প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুটের ধুম লেগেই থাকে। আগামী দিনে সেখানে এই ধরনের প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করতে গেলে আর তা বিনা খরচে হবেনা। এজন্য মোটা টাকা খরচ করতে হবে। তবেই মিলবে এইসব দ্রষ্টব্য স্থানে প্রি-ওয়েডিং শ্যুটিং-এর অনুমতি।
প্রতি ২ ঘণ্টা প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুটের জন্য ২ হাজার টাকা দিতে হবে। ২ হাজার টাকা দিলে একটি পাস দেওয়া হবে। সেই পাসের সময়সীমা ২ ঘণ্টা।
যদি কারও মনে হয় যে ওই ২ ঘণ্টায় শ্যুটিংটা হল না, তাহলে তাঁকে আবার ২ ঘণ্টার পাস নিতে হবে। ফের গুনতে হবে ২ হাজার টাকা।
ফলে কোনও নবাবি শহরের বাছাইকরা দ্রষ্টব্য স্থানে এবার থেকে আর বিনা খরচে প্রি-ওয়েডিংয়ের সুযোগ রইল না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা