সমুদ্র শহরে পর্যটক আসা অনেকটাই কমল, কাঠগড়ায় পায়খানা
এ সমুদ্র শহর ভারতের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। সেখানে এবার দেশি বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই কমেছে। এজন্য দায়ী করা হচ্ছে পায়খানাকে।
এ এমন এক পর্যটনকেন্দ্র যেখানে সারা বছরই দেশি বিদেশি পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। বিদেশি পর্যটকদের কাছে এ শহর ভারতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সমুদ্র শহর। ফলে সেখানে সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক ভিড় জমান। সেই সঙ্গে দেশের পর্যটকরা তো রয়েছেনই।
গোয়ার স্থানীয় মানুষের একটা বড় অংশই এই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। গোয়ার অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভটাই পর্যটন। সেখানে এক বছরে গোয়ায় পর্যটকের সংখ্যা কমেছে।
বিশেষত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বলে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন স্যাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জন লোবো। তাঁর মতে, এজন্য দায়ী হল পায়খানা এবং স্থানীয় একাংশের ক্রমাগত উত্যক্ত করা।
লোবো-র মতে, গোয়ার বিভিন্ন সমুদ্রসৈকতই হল পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। সেই সমুদ্রসৈকতে যেখানে সেখানে পায়খানা করে যাওয়া একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে কিছু মানুষের।
বালির ওপর পায়খানা পড়ে থাকছে। সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে বা সময় কাটাতে এসে প্রায়ই এই দুর্গন্ধযুক্ত পায়খানার সামনে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। যা তাঁদের ঘোরার আনন্দকে অনেকটাই মাটি করছে।
সেই সঙ্গে স্থানীয় কিছু মানুষও ক্রমাগত পর্যটকদের নানাভাবে উত্যক্ত করে চলেছেন। তাঁদের নিশ্চিন্তে চারধার উপভোগ করতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। শান্তিতে ঘোরার পর্যন্ত সুযোগ পাচ্ছেন না পর্যটকরা। ফলে ক্রমশ পর্যটকরা গোয়া থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।
এই সমস্যা সমাধানে সরকারি পদক্ষেপও চেয়েছেন লোবো। এভাবে বেড়াতে আসা মানুষকে উত্যক্ত করা বা যত্রতত্র সমুদ্রসৈকতে পায়খানা করে রাখা বন্ধ করতে সরকারের তরফে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছেন গোয়ার ব্যবসায়ীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা