এলাকা দখল করতে যাওয়া বাঘিনীর মুখে মিলল বাঘের একগোছা লোম
এলাকার দখল কার কাছে থাকবে। এটাই ছিল প্রধান কারণ। তার জেরে এক বাঘিনীর দশা দেখে বন বিভাগের কর্মীরা বেশ অবাক।
এক বাঘিনী। বয়স ২ বছরের মত। তারই মুখের মধ্যে মিলল বাঘের লোম। একগুচ্ছ বাঘের লোম অনেক কথা বলে গেল বলেই মনে করছেন পশু চিকিৎসকেরা। এই বাঘিনীর দেহ উদ্ধার হয় জঙ্গল থেকে। তার ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া পেটের কাছেও ছিল বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন।
শরীরে রক্ত বেরিয়ে জমাট বাধার চিহ্নও মিলেছে। সাধারণত জঙ্গলে বাঘের দেহ মিললে প্রথমেই সন্দেহ যায় তাকে মারা হয়েছে কিনা সেদিকে। বিষ দিয়ে বা চোরাশিকারিদের শিকার হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়।
তবে এক্ষেত্রে এমন কিছুই হয়নি বলে নিশ্চিত চিকিৎসকেরা। তাঁরা বাঘিনীর দেহ পরীক্ষা করে দেখেন এই বাঘিনীর সঙ্গে একটি বাঘের তুমুল লড়াই হয়েছে। বাঘের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে চোটও যথেষ্ট পায় এই বাঘিনী।
এই লড়াইয়ের মূল কারণ হল এলাকার দখল কার কাছে থাকবে তা নিশ্চিত করা। জঙ্গলেও বাঘদের এলাকা আলাদা হয়। অন্য বাঘ সেখানে প্রবেশ করলে লড়াইও হয়। সেটাই হয়েছে এক্ষেত্রে বলে নিশ্চিত চিকিৎসকেরা।
আঘাতের চিহ্ন সে কথাই বলে যাচ্ছে। লড়াইয়ের সময় অন্য বাঘটির গায়ের লোম এই বাঘিনীর মুখে চলে আসে। আর সেটাই বাঘিনীর দেহ পরীক্ষা করে পাওয়া যায়।
তেলেঙ্গানার কাগজনগর ফরেস্ট ডিভিশনের দারেগাঁও জঙ্গল থেকে বাঘিনীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মহারাষ্ট্রের টাডোবা ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য থেকে বাঘরা প্রণহিতা নদী ধরে এই দারেগাঁও জঙ্গলে আসে সন্তানের জন্ম দিতে।
মনে করা হচ্ছে সেই সময় কোনও বাঘের সঙ্গে জঙ্গলের এলাকা দখল নিয়ে বাঘিনীটির লড়াই শুরু হয়। যা তার মৃত্যু দিয়ে শেষ হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা