হাড় কাঁপছে, চোখের সামনে ঝাপসা, সূর্যকে ভুলতে বসেছেন সকলে
এক একটা দিন যেন একটা করে দুঃস্বপ্নের মত কাটছে। হাড়ে হাড়ে ঠকঠক করে যেন আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। চোখের সামনে ঝাপসা। এমন আর কতদিন।
ভোর কাকে বলে, সকাল কাকে বলে, বেলা কাকে বলে, দুপুর কাকে বলে, আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। একমাত্র ঘড়ি দেখে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। চোখের সামনেটা শুধুই ঝাপসা। ঘরের মধ্যে একরকম। কিন্তু দরজা খুলে বাইরে পা দিলেই কার্যত হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর চোখের সামনে কি আছে ঠাওর করতে না পারা দিল্লি তো বটেই, গোটা উত্তর ভারতের কোটি কোটি মানুষকে দুর্বিষহ দিনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
দিল্লির পারদ রবিবার ৩.৫ ডিগ্রিতে নেমেছে। হাড় হিম করা ঠান্ডায় গরম পোশাকও বাধ মানছে না। তারমধ্যে কুয়াশার পুরু চাদরে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যতে নেমেছে।
শতাধিক বিমান সময়ে উড়তে পারেনি। রানওয়ে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গেছে। ২২টির ওপর ট্রেন দেরিতে চলছে। বেলা বাড়লেও কুয়াশার হাত থেকে সেভাবে রেহাই মিলছে না। দিল্লির পরিস্থিতি সামনে এলেও একই অবস্থা দিল্লির আশপাশ থেকে গোটা উত্তর ভারতে। শৈত্যপ্রবাহ চলছে অনেক জায়গায়।
আপাতত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ফলে কাজের গতি যেভাবে ধাক্কা খাচ্ছে তা থেকে এখনই রেহাই নেই। খুব দরকার না পড়লে কেউ রাস্তাতেও বার হতে চাইছেন না।
ঘড়ির কাঁটা দুপুরে পৌঁছে গেলেও পুরু কুয়াশার কারণে তখন সকাল হয়েছে বলে ভ্রম হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া কামড় বসাচ্ছে শরীরে। সূর্যের মুখ দেখতে পাননি অনেকদিন, এমন মানুষও রয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা