প্রেমিকার জায়গায় মেয়ে সেজে পরীক্ষা দিতে এল প্রেমিক, তারপর যা হল
প্রেমিকার পরীক্ষা দেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁর জায়গায় সালোয়ার কামিজ পরে মেয়ে সেজে পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হলেন তাঁর প্রেমিক। তারপর যা হল।
এখন কনকনে ঠান্ডা। তারমধ্যেই পরনে সালোয়ার কামিজ, তার ওপর গরম পোশাক, মাথায় টুপি, হাতে লাল চুড়ি, ঠোঁটে লিপস্টিক, কপালে টিপ পরে এক পরীক্ষার্থী বুকে পরিচয়পত্রের কার্ড ঝুলিয়ে হাজির হন একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। মাল্টিপারপাস হেলথ ওয়ার্কার্স এক্সামিনেশন দিতে অন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনিও প্রবেশ করেন পরীক্ষাকেন্দ্রে।
এই কেন্দ্রে কেবল মহিলারাই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পঞ্জাবের কোটকাপুরায় এই পরীক্ষাকেন্দ্রে তখন অনেক তরুণীই পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছেন। সকলের চোখে মুখেই পরীক্ষার চাপ স্পষ্ট। সকলকে পরীক্ষা করে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছিল।
সব পরীক্ষার্থীকেই প্রথমে তাঁদের ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড দেখাতে বলা হচ্ছিল। সকলের সঙ্গে পরমজিত কউর নামে ওই তরুণীও নিজের পরিচয়পত্র দেখান। তবে সেখানেই শেষ নয়।
পরীক্ষার্থী তিনিই কিনা তা পরীক্ষার জন্য বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থাও ছিল। আর সেখানেই ধরা পড়ে যায় সব জারিজুরি। বারবার চেষ্টা করলেও পরমজিত কউরের আঙুলের ছাপ মিলছিল না। তারপরই পরিস্কার হয় সবকিছু।
ধরা পড়ে যান পরমজিত কউর সেজে পরীক্ষা দিতে আসা তাঁর প্রেমিক আঙ্গরেজ সিং। তবে তাঁর সাজ দেখে কেউই বুঝতে পারেননি তিনি মহিলা নন, পুরুষ।
এমনকি ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড দেখিয়ে প্রথম ধাপ পারও করে যান তিনি। কিন্তু বায়োমেট্রিক সব ফাঁস করে দিল। অনেক চেষ্টা করেও প্রেমিকার হয়ে পরীক্ষাটা আর দেওয়া হল না আঙ্গরেজের। মাঝখান থেকে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে রীতিমত হাসির খোরাক হয়ে গেলেন তিনি।