অতিপাতলা মেঘের চাদরের দিকে চেয়ে বরফের স্বপ্নে বিভোর ওঁরা
এক অতিপাতলা মেঘের চাদর দেখা গেছে। সেই পাতলা চাদর দেখেই স্বপ্নে বিভোর মানুষজন। শুকনো মাঠে দাঁড়িয়ে শ্বেতশুভ্র স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয়রা।
জানুয়ারি প্রায় শেষ। এবার তো উপত্যকায় শীতের দিন শেষ হবে। আসবে বসন্ত। ফুটবে টিউলিপ। যে সময় এখানকার মানুষের মন আনন্দে মেতে ওঠে। চিল্লাই কলনের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর বরফের পুরু চাদরে ঢাকা চারধার জনজীবনকে যেভাবে স্তব্ধ করে রাখে তা থেকে মুক্তির আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে।
এবার কিন্তু ঠিক উল্টোটা হচ্ছে। জানুয়ারির শেষে চারধারে এক পাতলা মেঘের আস্তরণে তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন বরফের। যদি একটু তুষারপাত হয়। যদি চারধার অন্তত এই শীতের শেষ বেলায় সাদা হয়ে ওঠে।
যদি এই পাতলা মেঘের হাত ধরে ঝুড়িঝুড়ি বরফ নেমে আসে আকাশ থেকে, সেই আশায় বসে আছেন তাঁরা। শীতের দিনে যে বরফের চাদর ফি বছর এসময় তাঁদের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে সেই বরফের চাদরটাই তো এবছর উধাও ছিল। শীতকালে বরফ না পড়লে তো গরমের সময় জলাভাব চরমে উঠবে। আপাতত সেই চিন্তাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাঁদের।
এবার কাশ্মীরে ঠান্ডার বিরাম নেই। বরং বরফ পড়লে পারদ যেখানে নামে তার চেয়েও বেশি ঠান্ডায় কাঁপছে ভূস্বর্গ। কিন্তু বরফের দেখা নেই।
শীতকালে যে কাশ্মীর বরফের চাদরে সাদা হয়ে থাকে, সে কাশ্মীরে এবছর বরফের দেখা নেই। তাই আপাতত পাতলা মেঘের চাদর দেখলেও সকলে আশার আলো দেখছেন।
বিশেষজ্ঞেরাও বলছেন, যদি আগামী কয়েকদিনে বরফ ভাল না পড়ে, যদি এভাবেই চিল্লাই কলন শেষ হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু গরমের দিনে চরম দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে কাশ্মীরবাসীকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা