নেই বরফের মধ্যেই শেষ হল ৪০ দিনের তুষার ঝরা সময়
যে সময়টা বরফের জন্যই আলাদা হয়েছে। সেই ৪০ দিনের সময়টা শেষ হল বরফ শূন্য অবস্থাতেই। এমনটা এই প্রথম দেখলেন এখানকার মানুষ।
সময় যত এগোচ্ছে ততই ক্রমান্বয়ে বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চেনা সময় যাচ্ছে বদলে। যেমন বছরের ৪০টি দিনকে আলাদাই করা হয় কাশ্মীরের জন্য। সেই ৪০ দিন ৩০ জানুয়ারি শেষ হল ঠিকই, কিন্তু যার জন্য এই ৪০ দিনের আলাদা পরিচিতি সেই পুরু বরফের দেখা মিলল না। পুরু দূরে থাক, কিছুটাও বরফ ঝরল না।
কাশ্মীরবাসীর কাছে চিল্লাই কলন হল বছরের সেই সময়টা যখন তাঁরা সবচেয়ে কঠিন শীতের মধ্যে দিয়ে যান। ২১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে এই চিল্লাই কলন শেষ হয় ৩০ জানুয়ারি।
এই ৪০ দিন টানা কাশ্মীর ঢাকা থাকে পুরু বরফের চাদরে। দিনের একটা বড় অংশ কাটে তুষারপাতে। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, গাছপালা সবই বরফের তলায় হারিয়ে যায়।
এমন এক প্রবল ঠান্ডা ও তুষারপাতের এই ৪০ দিনকে বছরের মধ্যে আলাদা করে কাশ্মীরবাসী ডাকেন চিল্লাই কলন নামে। চিল্লাই কলন মানেই অতি প্রবল ঠান্ডার দিন।
এবার সেই চিল্লাই কলন কিন্তু শেষ হল বরফ শূন্য অবস্থায়। কাশ্মীরের পাহাড়ের ঢালে বরফ নেই, এমন দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত নন স্থানীয় মানুষ। তাই তাঁরা এবার প্রমাদ গুনছেন।
যদিও শেষ কয়েকদিনে কাশ্মীরের পাহাড়ের উপরিভাগে কিছু তুষারপাত হয়েছে। কিন্তু উপত্যকা এখনও বরফের ছোঁয়া পায়নি। এমন এক চিল্লাই কলন এর আগে কখনও কাটায়নি কাশ্মীর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা