বিয়ে ভেঙে দিল একটা চেয়ার
বিয়ে হওয়াটাই কেবল বাকি ছিল। সেই বিয়ে শেষ মুহুর্তে ভেঙে গেল একটা চেয়ারের জন্য। ২ পক্ষই বিয়ে ভাঙার জন্য চেয়ারকে কাঠগড়ায় চাপিয়েছে।
বিয়ের আয়োজন সব হয়ে গিয়েছিল। কনেও তৈরি। বরও এসে পড়েছেন। বরযাত্রীরাও হাজির। এবার বিয়ে শুরু হবে। তার আগে সকলেই নিজেদের মধ্যে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন বিনিময়ে ব্যস্ত। এই সময় এক বৃদ্ধার গলা বদলে দেয় পরিবেশকে। তিনি সোজা হাজির হন বরের কাছে।
সম্পর্কে তিনি বরের ঠাকুমা। তিনি তাঁর নাতির কাছে এসে অভিযোগ করেন যে তিনি বারবার চেয়েও একটা চেয়ার পাননি বসার জন্য। একটা চেয়ার নেই!
বর বিয়েতে বসতে গিয়েও সেসব ছেড়ে তাঁর ঠাকুমাকে কেন চেয়ার দেওয়া হচ্ছেনা তা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন। শুধু কনের বাড়িকেই নয়, সোজা কনেকেও তিনি ভয় দেখান যে তাঁর ঠাকুমাকে এভাবে চেয়ার না দেওয়ার ফল বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে পা রাখলেই পাবেন কনে।
পরিস্থিতি খুব দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কনের বাবা মহম্মদ মুবিন দাবি করেন সব অতিথির জন্যই আয়োজন করা হয়েছিল। তার মধ্যেই বৃদ্ধা একটা চেয়ার নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন।
বর কনেকে বলেছেন শ্বশুরবাড়িতে পা রাখলে তাঁর কার্যত বেহাল দশা করা হবে। এটা কন্যাপক্ষও মেনে নিতে পারেনি। ২ পক্ষে তুমুল বচসা শুরু হয়।
এরমধ্যেই বর জানিয়ে দেন তিনি বিয়ে করবেননা। কন্যাপক্ষ জানিয়ে দেয় বর চাইলেই যেতে পারেন। তবে তাঁদের এই আয়োজনে যে খরচ হয়েছে তা কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে তবে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে বিয়ে বাড়ি ছাড়তে দেওয়া হবে।
অবশেষে কন্যাপক্ষের বিয়ের আয়োজনের সব খরচ মিটিয়ে তবেই বরপক্ষ সেখান থেকে ফিরতে পারে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা