ফেব্রুয়ারিতে এসে মরসুমের প্রথম বরফ দেখল উপত্যকা
দার্জিলিংয়ে তুষারপাত হয়েছে। একাধিক দিন হয়েছে। কিন্তু যেখানে বরফই বরফ থাকার কথা তারা ফেব্রুয়ারির প্রথমে পৌঁছে মরসুমের প্রথম বরফ দেখল।
আবহাওয়া যে কতটা খামখেয়ালি খেলায় মেতেছে তা চলতি শীতের মরসুমেই টের পাওয়া গেল। দার্জিলিংয়ে বরফ পড়ে দেরিতে। তাও যে একেবারে পুরু হয়ে পুরো এলাকা ঢেকে দেয় তেমনটাও নয়। কিন্তু দার্জিলিংয়ের অনেক আগে যে জায়গা বরফের পুরু চাদরের তলায় চলে যায় তা হল কাশ্মীর।
সেই কাশ্মীর এবার বরফ শূন্য শীত কাটিয়েছে। দার্জিলিং আগে বরফ পেয়েছে, কিন্তু কাশ্মীরের সমতল তখনও বরফ পায়নি। অবশেষে কাশ্মীরের সমতলে বরফ পড়ল। পয়লা ফেব্রুয়ারি মরসুমের প্রথম বরফ দেখতে পেল উপত্যকার সমতল।
হিসাব বলছে স্বাভাবিক সময়ের ২ মাস পর এখানে বরফ পড়ল। শ্রীনগরে এদিন মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। এছাড়া সমতলের নানা জায়গায় কিছুটা তুষারপাত দেখা গেছে।
পার্বত্য এলাকার তুলনায় বেশি বরফ পড়েছে। সমতলে বরফ সরাতে মরসুমে এই প্রথম বরফ সরানোর যন্ত্র ব্যবহার করা হল। যা দিয়ে রাস্তাগুলো থেকে বরফ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চলতি মরসুমে কাশ্মীর বরফ ছাড়া শীত কাটিয়েছে। এমন এর আগে কখনও হয়নি। আবহাওয়ার খামখেয়ালি ভাব আচমকাই যেন হানা দিল কাশ্মীরে।
গতবছরও যেখানে ভাল তুষারপাত হয়েছে, সেখানে এবার বরফের দেখাই নেই। যা বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে। যদিও এবার তুষারপাত না হলেও ঠান্ডায় কমতি ছিলনা।
তুষারপাত হলে যে ঠান্ডা হয় এবার শুকনো কাশ্মীর তার চেয়েও বেশি ঠান্ডা পেয়েছে। এদিকে বরফ না পড়ায় গরমের দিনে প্রয়োজনীয় জল নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কাশ্মীরবাসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা