দিল্লির সাহিবাবাদ থানায় বুধবার রাতে বছর ১৬-র একটি ছেলে কাঁদতে কাঁদতে হাজির হয়। তার জামায় রক্ত লেগে ছিল। পুলিশকে সে জানায়, তার মালকিন তাকে বারবার যৌন সম্পর্ক তৈরির জন্য চাপ দিচ্ছিল। না করলে তাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে পুলিশে দেবে বলেও ভয় দেখাত। সেই চাপ আর সহ্য হচ্ছিল না। তাই সে তার মালকিনকে খুন করে দিয়েছে। একথা বলে কাঁদতে থাকে সে। পুলিশের তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় দশা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কিশোরের দাবি বছর দেড়েক আগে সে যখন নয়াদিল্লি স্টেশনে কাজের খোঁজে ঘুরছিল, তখনই ওমপাল ও অনিতা তাকে তাদের বাড়িতে কাজ করার জন্য নিয়ে আসে। সেখানে সে বাড়ির কাজ তো করতই, সঙ্গে সঙ্গে ওমপালের ব্যবসা সংক্রান্ত টুকটাক কাজেরও দেখাশোনা করত। কিশোরের দাবি, ওমপাল বাড়ি না থাকলে প্রায়শই অনিতা তাকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিত।
দিনের পর দিন সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে গত বুধবার সন্ধেয় যখন তার মালকিন অনিতা বসে টিভি দেখছিল তখন তাকে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে পিছন থেকে গলা কেটে খুন করে সে। পরে পুলিশ অনিতার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। অনিতার আড়াই বছরের সন্তান তখন ঘুমে আচ্ছন্ন।