অবাধ্য প্রকৃতি, বিদায় নেওয়ার পর কামড় দিল অসহ্য ঠান্ডা
এমন কাণ্ড মানুষ আগে দেখেননি। তাঁদের আদি অনন্ত ধারনা অনুযায়ী কড়া ঠান্ডা বিদায় নিয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি। তারপরই ভেল্কি দেখানো শুরু করল প্রবল ঠান্ডা।
শীতে প্রবল ঠান্ডা থাকলেও বরফের দেখা মেলেনি। বরফের অভাব মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। প্রবল ঠান্ডার সময় হল ৪০ দিন। পরম্পরার পর পরম্পরা ধরে এটাই প্রচলিত। আর এটাই হয়ে থাকে। ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি, এই ৪০ দিন মানুষের কাছে চিল্লাই কলন। অর্থাৎ অতিপ্রবল ঠান্ডার দিন।
এই সময় চারধার সাদা বরফের চাদরে ঢেকে থাকে। তার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডার কামড়। এবার ঠান্ডার কামড় বজায় থাকলেও সেই সাদা বরফের চাদরটা ছিলনা।
এমন তুষারহীন অবস্থাতেই শেষ হল চিল্লাই কলন। এই সময়ের পর থেকে আস্তে আস্তে উত্তাপ বাড়তে থাকে উপত্যকায়। ক্রমে সেখানে প্রবেশ করে বসন্ত। এবার সেই চিরাচরিত ও আবহমান প্রকৃতি অবাধ্য হয়ে উঠেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে এসে এবার কাশ্মীর যেন জেগে উঠেছে তার পুরনো চেনা শীতের খেলায়। ক্রমে তুষারপাত বাড়ছে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ঠান্ডার দাপট।
চারধারে এই ফেব্রুয়ারিতে এসে যখন বরফ কমার কথা তখনই বরফের চাদর আরও পুরু হতে শুরু করেছে। শ্রীনগরের পারদ নেমে গেছে মাইনাস ৪.৯ ডিগ্রিতে। গুলমার্গ মাইনাস ৭। পহেলগাম মাইনাস ৮.৬ ডিগ্রি।
ভয়ানক ঠান্ডায় কাবু লাদাখ। কার্গিলে পারদ নেমেছে মাইনাস ২২.৪ ডিগ্রিতে। লেহ মাইনাস ১৪.৫ ডিগ্রি। এমনকি শীতকালে যে জম্মুর পারদ তেমন নিচে নামে না তাও এখন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই নিচে ঘোরাফেরা করছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাশ্মীরের এই অতিপ্রবল ঠান্ডা ও তুষারপাতের পরিস্থিতি একই অবস্থায় থাকবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা