National

খামখেয়ালি আবহাওয়ায় হাঙ্গুল রক্ষায় আলো দেখাবে সবুজ

এমনিতেই সহজে খুঁজে পাওয়া যায়না। তার ওপর আবহাওয়ার খামখেয়ালি আচরণে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল আকার নিয়েছে। এরমধ্যে এক অভিনব উদ্যোগ সামনে এল।

আবহাওয়া সর্বত্রই তার চরিত্র বদলে ফেলছে। চেনা আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। ঋতুর পরিবর্তন ক্যালেন্ডারে হলেও অনেক জায়গায় তার প্রভাব সঠিক সময়ে দেখা যাচ্ছেনা। কাশ্মীরেই এবার শীত কেটেছে বরফ শূন্য অবস্থায়। কিন্তু এই বসন্তে এখন কাশ্মীর জুড়ে অকাল তুষারপাত শুরু হয়েছে শীতকালের মত।

আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি আচরণ আরও বড় সমস্যায় ফেলেছে কাশ্মীরের অতিবিরল প্রাণি হাঙ্গুলদের। একেই তাদের সংখ্যা হাতেগোনা। বিরল প্রজাতির তালিকায় পড়ে এরা।


তারমধ্যে আবহাওয়ার বদল এবং অনেক জায়গায় সবুজের অভাব তাদের অস্তিত্বকেই না সংকটে ফেলে দেয় তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞেরা। এরমধ্যেই হাঙ্গুলদের রক্ষা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এল একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

এই প্রতিষ্ঠানটি কাশ্মীরের যেখানে হাঙ্গুলদের বসতি রয়েছে সেখানে ১ লক্ষ ২৫ হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে। একমাত্র গাছই পারে হাঙ্গুলদের রক্ষা করতে। তাদের এই পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাওয়া রুখে দিতে।


আপাতত এই সবুজের আহ্বানই আলো দেখাচ্ছে হাঙ্গুল রক্ষায়। এই ১ লক্ষ ২৫ হাজার গাছ একই ধরনের নয়। বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হচ্ছে।

হাঙ্গুল আদপে এক প্রকার হরিণ। মধ্যে এশিয়ায় যে লাল হরিণ পাওয়া যায়, হাঙ্গুল হল তারই এক প্রকার। এরা প্রধানত পাহাড়ি এলাকায় উপত্যকার অতি ঘন জঙ্গলে বাস করতে পছন্দ করে।

ভারতের কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশে হাঙ্গুল দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এই প্রাণিকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক স্তরেও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঙ্গুলদের ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসার পিছনে মানুষের হাত রয়েছে। চোরাশিকারিদের হাঙ্গুল শিকার, বাড়তে থাকা দূষণ, থাকার জন্য জঙ্গল কেটে বসতি নির্মাণ হাঙ্গুলদের ক্রমশ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়ার অবস্থায় এনে ফেলেছে। তাই তাদের রক্ষা করা এখন আশু কর্তব্যও বটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button