বাঘেরা চাইলেই স্নানের ব্যবস্থা, সাপদের জন্য ফ্যান, বদলে গেল মাংস
এক নয়া বন্দোবস্ত বেশ নজর কেড়েছে। যেখানে বাঘদের জন্য যখন চাইবে স্নানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সাপদের জন্য সব সময় ঘুরছে ফ্যান।
বসন্তের হাওয়ায় এখনও আলতো ঠান্ডা গরমের মিশ্রণ। রোদ লাগলে গরম সহ্য হচ্ছেনা। আবার ছাওয়ায় হালকা ফ্যানের হাওয়াতেই দিব্যি লাগছে। তবে দেশের সব প্রান্তে তো একই আবহাওয়া নয়। তাই দক্ষিণের কেরালার তিরুবনন্তপুরম চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের গরমের দাপট থেকে বাঁচাতে একদম নয়া বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাঘদের গরমে মাঝে মাঝে হোস পাইপ দিয়ে স্নান করানো হত। কিন্তু এবার গরমের শুরুতেই তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা এখন চাইলেই শাওয়ারে স্নান করতে পারবে।
আবার সাপদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে সাপ রাখার জায়গায় ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাল্লুকদের জন্য আবার অন্য ব্যবস্থা। তাদের প্রতিদিন বিকেলে যে ফল দেওয়া হচ্ছে, তার চারধারে প্রচুর পরিমাণে বরফ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পাখিদের প্রচুর আনাজ খেতে দেওয়া হত। তা এখন বদলে তাদের মেনুতে ফল প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে তাদের গরম থেকে বাঁচতে।
আবার চিড়িয়াখানায় মাংস খায় এমন যেসব প্রাণি রয়েছে, যেমন বাঘ, সিংহদের মত পশুদের এতদিন মুরগির মাংস দেওয়া হচ্ছিল। তা এখন বদলে ফেলা হয়েছে।
তাদের মুরগির মাংস বাদ গিয়েছে মেনু থেকে। বরং তার জায়গায় তাদের এখন গরুর মাংস দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে মাছও দেওয়া হচ্ছে যেসব প্রাণি মাছ খায় তাদের। গরম পড়তেই এই মেনু বদলে চিড়িয়াখানার খাবার কেনাকাটার খরচও বদলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা