হাত পড়তে চলেছে ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ২ দরজায়
ঐতিহাসিক স্থাপত্য সর্বদাই মানুষের নজর কেড়ে নেয়। পর্যটকদের ভিড়ও লেগে থাকে। তেমনই এক ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ২টি দরজায় এবার হাত পড়তে চলেছে।
এ এক নবাবি স্থাপত্য। তৈরি হয়েছিল ১৮৩৯ সালে। তখন তার জেল্লা সকলকে অবাক করত। ক্রমে সময়ের হাত ধরে তা জীর্ণ হয়েছে। কিন্তু তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব কমেনি। বরং তা এখন এক হেরিটেজ তকমা পাওয়া স্থাপত্য। এরই ২ ধারে ২টি দরজা রয়েছে। সে দরজাও দেখার মতন।
তবে বয়সের ভারে সেই ২টি দরজাই নষ্ট হতে বসেছে। ইট খসে পড়ছে। খসে পড়ছে চাঙর। জরাজীর্ণ চেহারা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। তাই এই হেরিটেজ স্থাপত্যকে মেরামতির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
ভারত তো বটেই এমনকি পৃথিবী বিখ্যাত এই স্থাপত্যের ২টি দরজার রক্ষণাবেক্ষণে এবার এগিয়ে এল ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ।
নবাবি শহর লখনউয়ের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থাপত্য হল ছোটা ইমামবাড়া। নবাব মহম্মদ আলি শাহ-এর তৈরি করা বড়া ইমামবাড়া এবং ছোটা ইমামবাড়া, এই ২ স্থাপত্যেরই রক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
ছোটা ইমামবাড়ার ৩টি দরজা রয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব দরজা, উত্তর দরজা এবং পশ্চিম দরজা। এর মধ্যে ছোটা ইমামবাড়ার দিকের দরজা হল উত্তর দরজা এবং হরদোই রোড-এর দিকের দরজা হল পশ্চিম দরজা।
এই ২টি দরজার ভগ্নদশা এতটাই প্রকট যে তার মেরামতি যত দ্রুত শুরু হবে ততই ভাল। তাই এই ২টি দরজার মেরামতি শুরু হচ্ছে। তবে এই মেরামতির একটি বিশেষত্ব আছে।
মেরামতির সময় যে ইট স্থাপত্যটি তৈরির সময় ব্যবহার হয়েছিল ভাঙা ইট সরিয়ে সেই ইটই লাগানো হবে, যে আস্তরণ দেওয়া হয়েছিল তৈরির সময় ঠিক সেই উপাদানেরই আস্তরণ দেওয়া হবে ইটের ওপর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা